![আমদানির খবরে কমেছে আলুর দাম](uploads/2024/02/02/1706859850.Potato.jpg)
আমদানির খবরে চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে আলুর দাম। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই বাজারে কেজিতে আলুর দাম কমেছে ৪ টাকা। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ হয়ে যায় আলু আমদানি। এরপর খাতুনগঞ্জে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে আলুর বাজার। তবে নতুন করে আমদানির অনুমতি পাওয়ায় গতকাল থেকে আবারও কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। ফলে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাতুনগঞ্জে গত ৩০ জানুয়ারি পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকায়, ৩১ জানুয়ারি ৩৩ টাকায় বিক্রি হয়। তবে পাইকারিতে গতকাল প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ২৯ টাকায়। যদিও একই দিন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০-৫৫ টাকায়।
গতকাল সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সরকার আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) কিছু স্থলবন্দর দিয়ে আলু আসতে শুরু করেছে। তবে আগামী রবিবার থেকে পুরোদমে আলু আসা শুরু হবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের একজন কর্মকর্তা খবরের কাগজকে জানান, বৃহস্পতিবার ভারতীয় এক ট্রাক আলু বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ বাজারের মেসার্স এস এন ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান পাঁচ লাখ কেজি আলু আমদানির অনুমতি নিয়েছে। গতকাল এই প্রতিষ্ঠানের আমদানীকৃত আলুর প্রথম চালানে প্রায় ৩০ টন আলু দেশে ঢুকেছে। যার দাম পড়েছে কেজি ৩০ টাকা। ১৫ ডিসেম্বর বন্ধ হওয়ার পর এটিই আলুর প্রথম চালান উল্লেখ করে তিনি জানান, আলু আরও আসবে। ভারতীয় এক ট্রাক আলুর জন্য বাংলাদেশের দুটি ট্রাক প্রয়োজন হয়।
চট্টগ্রামের চাক্তাইয়ের পাইকারি আলু বিক্রেতা আফরা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আলা উদ্দিন আলো খবরের কাগজকে জানান, যেহেতু ভারতীয় আলু আসা শুরু হয়েছে, পণ্যটির দাম আরও কমে যাবে। গত মঙ্গলবার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আলুর পাইকারি দর ছিল কেজিতে ৩৫ টাকা। গত বুধবার তা ২ টাকা কমে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল আরও কমে কেজি ২৯ টাকায় নেমেছে। তবে ভারতীয় আলুর চেয়ে বাংলাদেশি আলুর মান ভালো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আসন্ন রোজা ঘিরে ভোগ্যপণ্যের আমদানি জরুরি হয়ে পড়েছে। আলু, পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার খবর পেয়েছি। আমদানি বাড়লে আমাদের ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসার কথা। কিন্তু প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এখন থেকে রোজার আগ পর্যন্ত কঠোরভাবে সবকিছু তদারকি করতে হবে। তাহলে ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা রাখি।’