ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

খুচরায় চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০১:০০ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
খুচরায় চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা
ছবি: খবরের কাগজ

রাইস মিলমালিকরা বলছেন, বোরোর মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। তারপরও ঈদের পর তেমন বাড়েনি চালের দাম। পাইকারি বিক্রেতারাও বলছেন, ঈদের সময় পরিবহন খরচ বাড়লেও পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়েনি। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। 

রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর কৃষিমার্কেট, কারওয়ানবাজার, বাদামতলীসহ বিভিন্ন বাজারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। 

দামের ব্যাপারে কৃষিমার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা সৈকত আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ধানের দাম বেশি। ঈদের পরে চালের দাম কেজিতে ২/১ টাকা বেড়েছে। মোজাম্মেল চাল ৭২ টাকা, রশিদসহ অন্যান্য মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানি ঈদের সময় পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। তার প্রভাব চালের বাজারেও পড়েছে।’ 

একই তথ্য জানান, কারওয়ানবাজারের হাজি রাইস এজেন্সির মালিক মো. মাঈনুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ঈদের পর বস্তায় ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা, আটাশ ৫২ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫-৭৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মিল থেকে বাড়ার কারণে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ জন্য বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে। মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা আনোয়ার রাইস স্টোরের আব্দুল মান্নানও একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ডায়মন্ড চাল ৭৫ টাকা কেজি। অন্য মিনিকেটেরও বাড়তি দাম। ঈদে বেড়েছে। আর কমে না। মিল থেকে না কমালে আমরা কীভাবে কমাব। অন্য মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা কেজি। কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। 

তাদের কথার সত্যতা যাচাই করতে চালের পাইকারি মোকাম কৃষিমার্কেটে দেখা যায় বিভিন্ন আড়তে সারি সারি বস্তায় ঠাসা প্রায় দোকান। পাইকারি বিক্রেতা শাপলা রাইস এজেন্সির মালিক শিপন বলেন, ‘মানুষ কোরবানি ঈদ করে ঢাকা এসেছেন। ঈদের পর বিক্রিই নেই। একেবারে কম। বাড়েনি দাম। বর্তমানে মিনিকেট ৬৫-৬৮ টাকা, আটাশ চাল ৫২ টাকা ও মোটা চাল ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও এই রেট ছিল। কোনো দাম বাড়েনি।’ একই তথ্য জানান, বাদামতলীর বাবু বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ঈদের পর বিক্রিই নেই। মানুষ বাড়িতে গিয়েছিল। ঢাকায় এলেও চাল কেনা শুরু করেনি। চাহিদা একেবারে নেই। তাই চালের দামও বাড়েনি। বস্তায় ৫০ টাকা বাড়লেও এটা তেমন বৃদ্ধি না। কারণ অনেক জিনিসের দাম হঠাৎ করে ৫-১০ টাকা বেড়ে যায়। সেটাকে বৃদ্ধি বলা হয়।’

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন চালের দাম বেড়েছে। কিন্তু পাইকারিতে বাড়েনি। আসলে বেড়েছে কী চালের দাম? জানতে চাইলে বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও রশিদ গ্রুপের কর্নধার আব্দুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঈদের পর পরিবহন ব্যয় যেভাবে বেড়ে গিয়েছিল, চালের দাম তেমন বাড়েনি। বস্তা প্রতি ৫০ টাকাও বাড়েনি। খুচরায় কত বাড়ল তা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা পাইকারি বাজারে চাল বিক্রি করি। বোরো মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। আমন ধান বাজারে উঠলে আর বাড়বে না। সামান্য বেশি দামে বর্তমানে ধান কিনতে হচ্ছে। এ জন্য একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এই বাড়তি দাম বস্তায় ৫০ টাকাও না। এটা বাড়তি বলা যায় না। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সারা দেশে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে এ ধানের আবাদ হয়েছে। এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ কোটি ২২ লাখ টন। উৎপাদনও তার কাছাকাছি। তারপরও বিনা ছুতায় বাড়ছে চালের দাম।

মুদ্রা বিনিময় হার: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
মুদ্রা বিনিময় হার: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
প্রতীকী ছবি

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা–বাণিজ্য। তাছাড়া, পড়াশোনা, চিকিৎসা, ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে আমাদের দেশের মুদ্রা বিনিময় করতে হয়।

একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, মুদ্রার বিনিময় হার প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। আমরা প্রতিদিন সর্বশেষ বিনিময় হার তুলে ধরছি। আরও বিস্তারিত জানতে স্থানীয় ব্যাংক বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা যেতে পারে।

মুদ্রা ক্রয় (টাকা) বিক্রয় (টাকা)
ইউএস ডলার ১২১.০০ ১২২.০০
ইউরো ১২৭.৯৯ ১২৮.০৪
ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫৩.৫৪ ১৫৩.৫৭
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৭.৪৭ ৭৭.৫২
জাপানি ইয়েন ০.৮০০৭ ০.৮০০৯
কানাডিয়ান ডলার ৮৫.৯৯ ৮৬.০৪
সুইস ক্রোনা ১১.৪১ ১১.৪২
সিঙ্গাপুর ডলার ৯০.০৫ ৯১.১২
চায়না ইউয়ান ১৬.৮০ ১৬.৮১
ইন্ডিয়ান রুপি ১.৪০৮১ ১.৪০৮৫
সৌদি রিয়াল - ৩২.৩০
আরব আমিরাত দেরহাম - ৩২.৯৮

জরিমানা দিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে বছরজুড়ে

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম
জরিমানা দিয়ে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে বছরজুড়ে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

চলতি করবর্ষে গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত রিটার্ন জমা পড়ে ৩৮ লাখ। নিয়মিত রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ হলেও বছরব্যাপী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুবিধা থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে জরিমানা গুনতে হবে। 

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

গতকাল রিটার্ন জমা নিয়ে এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলসংক্রান্ত ব্যবস্থা করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। করদাতাদের চাহিদা ও মতামতের ভিত্তিতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমেই সহজ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব করার ফলে এ বছর ১৪ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। আর ১৮ লাখের বেশি করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।’ 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আয়কর দিবস পরবর্তী সময়েও এনবিআর অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সেবা বছরব্যাপী চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আয়কর দিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিল করলে আয়কর আইন, ২০২৩-এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত এবং কোনোরূপ কর অব্যাহতি পাবেন না। কর দিবসে যে পরিমাণ কর অপরিশোধিত থাকবে তার ওপর আয়কর আইন, ২০২৩-এর ১৭৪ ধারা অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে (সর্বোচ্চ ২৪ মাস) অতিরিক্ত কর আরোপ করা হবে।’

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি আরও পিছিয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি আরও পিছিয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় আরও পিছিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

আগামী মার্চে কি আইএমএফ পর্ষদে প্রস্তাব উঠছে, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মার্চে নয়। আমরা বলেছি যে একটু অপেক্ষা করব। আগামী জুনে দুই কিস্তির প্রস্তাব একসঙ্গে উঠুক।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি যে আমাদের কিছু কাজ আছে। তাই আমরা অত তাড়াহুড়া করছি না। আমি একটা বিষয় বলি, আপনারা তো ভাবছেন ভিক্ষা করে টাকাপয়সা নিয়ে আসি। আসলে অনেক শর্ত মেনে এবং আমাদের নিজস্ব তাগিদে অর্থ আনতে হয়। কিছু শর্ত আছে তা বললেই আমরা পালন করব, এমন নয়।’

সুমন/

নতুন নোট আসবে ১৯ মার্চ, যেসব শাখায় পাওয়া যাবে

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০১ পিএম
নতুন নোট আসবে ১৯ মার্চ, যেসব শাখায় পাওয়া যাবে

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

আগামী ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে নতুন নোট বিনিময় করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৯ মার্চ থেকে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ের মাধ্যমে ৫, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। এটা চলবে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত। তবে একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না।

যেসব ব্যাংক ও শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে সেগুলো হচ্ছে- জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকর যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী ১১নম্বর শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

তাছাড়া, অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দিলকুশা প্রধান শাখা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা (মিরপুর-১), উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানস্থ এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি স্বরণী শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ভুলতা শাখা (নারায়ণগঞ্জ), ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের কাঁচপুর শাখা(নারায়ণগঞ্জ), ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা (সাভার), ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা (সাভার), ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা। সূত্র: বাসস

অমিয়/

মিষ্টি-নিমকির ব্যবসায় সপ্তাহে ৬ হাজার টাকা আয় নিজামের

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ এএম
মিষ্টি-নিমকির ব্যবসায় সপ্তাহে ৬ হাজার টাকা আয় নিজামের
নিজাম উদ্দিন ফেরি করে মিষ্টি ও নিমকি বিক্রি করছেন। ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার টংগুয়া গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন ২৫ বছর ধরে মিষ্টি ও নিমকি বিক্রি করছেন। কাঁচামালের দাম বাড়লেও তার ব্যবসা ভালো চলছে। এখন প্রতি সপ্তাহে ৫-৬ হাজার টাকা লাভ হয়। তিনি প্রতি পিস মিষ্টি ৫ টাকায় বিক্রি করেন। স্থানীয়ভাবে তার মিষ্টি ও নিমকির অনেক কদর রয়েছে। 

নিজাম উদ্দিনের বয়স ৬২ বছর। ২০০০ সালে কৃষিকাজের পাশাপাশি মিষ্টি ও নিমকি তৈরির শুরু হয়। এক ভগ্নিপতির মাধ্যমে এ ব্যবসার হাতেখড়ি হলেও এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি। শুরুতে স্থানীয়দের কাছে ১ টাকায় মিষ্টি বিক্রি করতেন। তবে এখন ৫ টাকায় বিক্রি করে ভালো আয় করছেন। কাঁচামালের দাম বেড়েছে, তবে ব্যবসা থেমে থাকেনি। প্রতিদিন প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে লোকরা তার মিষ্টি কিনতে আসেন।

নিজাম বলেন, ‘দুধ, চিনি, ময়দা, তেল— সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু আমি মান ঠিক রেখেই মিষ্টি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’ তার তৈরি মিষ্টি ও নিমকির স্বাদ এতটাই জনপ্রিয়। প্রতিদিন অনেক ক্রেতা তার বাসায় চলে আসেন। ১ কেজি মিষ্টিতে থাকে ৫৫-৬০ পিস, আর ১ কেজি নিমকিতে প্রায় ৬০ পিস। প্রতি কেজি মিষ্টি ২৬০ টাকায় বিক্রি করেন। উৎপাদন খরচ বাদে তার লাভ ৫-৬ হাজার টাকা।

তার মিষ্টি ও নিমকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অগ্রিম অর্ডারেও বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় যুবক রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিজাম চাচার মিষ্টি-নিমকির স্বাদ খুব ভালো। মাঝে মাঝে বন্ধুবান্ধব মিলে চলে আসি।’ আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমরা প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে মিষ্টি কিনতে এসেছি। তার মিষ্টি খুব সুস্বাদু, দামও অনেক সস্তা।’

দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজা হুমায়ুন শামীম চৌধুরী বলেন, ‘নিজাম উদ্দিনের মিষ্টি অনেক জনপ্রিয়। তিনি কম দামে ভালো মিষ্টি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।’

নিজাম উদ্দিন আশাবাদী, যদি ব্যবসার প্রসারে সাহায্য পান, তবে আরও ভালো করবেন। তিনি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার রহমতে প্রতিদিন ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে পারব।’