![সিলেটে ঊর্ধ্বমুখী কাঁচাবাজার, মরিচের কেজি ৪০০ টাকা](uploads/2024/06/30/Sylt-morich-1719724366.jpg)
সিলেটের পাইকারি বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ কেজিতে ২৫০, ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় এবং ধনেপাতা কেজিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি ও ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি অন্য শাকসবজির দামও বাড়তি। কেজি ৫০ টাকার নিচে বাজার থেকে কোনো সবজি কেনা যায় না। তবে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের কাছ থেকে দুই-চার টাকা কমে কেনা যায় সব ধরনের শাকসবজি।
সিলেটের খুচরা বাজারগুলোতে টমেটো প্রতি কেজি ১০০, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০, ঢ্যাঁড়স ৫০, ঝিঙে ৬০, কাঁকরোল ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, মুলা ৬০, পটোল ৫০, বেগুন ৮০, আমড়া ৮০, শসা ১০০, গাজর ১৫০, কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচকলা এক হালি ৬০ টাকা, লতা এক আঁটি ৬০, মিষ্টিলাউ প্রতি পিস ছোট ৬০ টাকা, মাঝারি ৮০ টাকা, বড় ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
গত শুক্রবার সিলেটের বিভিন্ন পাইকারি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় আড়তে সরবরাহ কম আসছে, তাই সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের পণ্যে এখন ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামতো দাম বাড়ান। আগে সিন্ডিকেট করে চাল, তেল, পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হতো। এখন সবজি ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেট করে নিজেদের ইচ্ছামতো শাকসবজির দাম বাড়ান। বাজার থেকে সড়কে বা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে যারা ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রি করেন তাদের কাছে দাম তুলনামূলক কিছুটা কম।
শুক্রবার সকালে সিলেট নগরীর টুকেরবাজার, সোবহানিঘাট সবজির আড়ত ও মদিনা মার্কেট, বন্দরবাজার, কাজীরবাজার এবং রিকাবীবাজার এলাকার সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলক ক্রেতার আনাগোনা অনেক কম।
বাজারে সবজি কিনতে আসা নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার লিটন তালুকদার বলেন, ‘শুক্রবারে আমরা শাকসবজি খাই, তাই কিছু সবজি কিনতে এসেছিলাম। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। কাঁচা মরিচ, টমেটো, শসা, গাজরের দামে তো আগুন ঝরে। অথচ আগে এই সময়ে আমরা অনেক কম দামে শাকসবজি কিনেছি।’
নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সামছু মিয়া বলেন, ‘সকালে বৃষ্টি ছিল। তাই ক্রেতা অনেক কম। শাকসবজির দাম একটু বেশি এখন। তবে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতার দাম বেশি, কারণ আড়ত থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে।’
এদিকে পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়িক ক্ষতি ও মুনাফা বেশি না হওয়ায় অনেক ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা এখন শাকসবজি বাদ দিয়ে মৌসুমি ফল বিক্রি শুরু করেছেন। এমনই একজন ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা রইচ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আড়তে শাকসবজির দাম বেশি। কেন বেশি জিজ্ঞাস করলেই আড়তদাররা বলেন, সরবরাহ কম তাই দাম বেড়েছে। এখন আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা বেশি মূল্যে সবজি কিনলে খুব একটা লাভ হয় না। তার ওপর এখন বৃষ্টির সময়। সবজি খুব তাড়াতাড়ি পচে যায়। তাই মাঝে মাঝে লাভ তো দূরের কথা, কেনা দামই ওঠে না। তাই কয়েক দিন ধরে আর সবজি বিক্রি করছি না। এখন চিন্তা করেছি কয়েক দিন আম, লটকনসহ মৌসুমি ফল বিক্রি করব। আমার মতো সবজিতে লোকসানের কারণে অনেক ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতা এখন ফল বিক্রি শুরু করেছেন।