![রমজানের আগে বেগুনে সেঞ্চুরি](uploads/2024/03/01/1709269569.Bazar.jpg)
রমজান মাস আসতে ১২ দিন বাকি। তার আগেই বেগুনের কেজি ১০০-১১০ টাকা হয়েছে। গত সপ্তাহে বেগুন ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। সরবরাহ ভালো হাওয়ার পরও বাজারে বেগুনের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এদিকে বাড়তে শুরু করেছে মরিচের দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে।
পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করলেও কমছে না দাম। আগের মতোই ক্রেতাদের পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। তবে চাল, মাছ, মাংস, ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। শীতের সবজির দাম তেমন না বাড়লেও সজনে ডাটা ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে। ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। করলা পটোলও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। তবে বাজারভেদে একই পণ্য কেজিতে ১০-২০ টাকা কমবেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। শ্যামবাজারের আড়তে পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেই পেঁয়াজ বিভিন্ন খুচরা বাজারে ১১৫-১২০ টাকা। টাউনহল বাজারের খুচরা বিক্রেতা অলি ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, পাইকারিতে দাম বেশি। ১১০ টাকা কেনা। লোকসান করে ব্যবসা করা যায় না। ১১৫-১২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। অন্য বিক্রেতারা জানান, ভারতের পেঁয়াজ না এলে কমবে না দাম। এ ছাড়া আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজি। আদা ২২০-২৮০ টাকা, দেশি রসুন ১৭০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
রমজান মাস ঘনিয়ে আসায় বেগুনের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে বেগুন ৬০-৭০ টাকা কেজি ছিল। এখন ৭০-১২০ টাকা কেজি। এত দাম কেন, জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা কালু বলেন, সামনে রমজান আসছে। চাহিদা বাড়ছে। এ জন্য দাম বেশি। এগুলো কলাতিয়ার বেগুন ১০০-১২০ টাকা। কম দামেরও আছে। ৭০-৮০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহ থেকে শসার দামও বাড়তে শুরু করেছে। হাইব্রিড শসা ৭০-৮০ ও দেশিটা ১২০-১৩০ টাকা, খিরার কেজি ৫০-৬০ টাকা। টমেটো ৪০-৫০ টাকা। মরিচের দামও বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের ৮০-১০০ টাকার মরিচ বর্তমানে ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কপির পিস ৩৫-৪০ টাকা, শাকের আটি ১০-১৫ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৫০ টাকা। সজনের ডাটা ২২০ টাকা, করলার কেজি ১৮০, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, পটোলও বেশি দামে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি।
আজ থেকে কম দামে মিলবে সয়াবিন তেল
সরকার তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, যা বাজারে আজ (১ মার্চ) থেকে পাওয়া যাবে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কম দামের সয়াবিন তেল এখনো কোম্পানি থেকে দেয়নি। তারা দিলে বিক্রি করা হবে। ১ মার্চ এলে দেখা যাবে। কারওয়ান বাজারের রব স্টোরের মালিক আব্দুর রব বলেন, ১ লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের মূল্য ১৭৩ টাকা। সেই দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। ৫ লিটারের মূল্য আছে ৮৪৫ টাকা। এটা একটু কম দামে ৮২০-৮২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিনির কেজি ১৪০-১৪৪ টাকা। ডাল ১১০-১৩৫ টাকা, ছোলার কেজি ১০৫-১১০ টাকা। বস্তার খোলা খেজুর ২৫০ টাকা, প্যাকেটের ভালো মরিয়ম খেজুর ১২০০-১৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি। টাউনহল বাজারের কুমিল্লা রাইস এজেন্সির জাহেদ বলেন, বর্তমানে ৬৮ টাকা কেজি মিনিকেট, ২৮ চাল ৫৩ টাকা ও মোটা চাল ৪৮-৫২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। অন্য চাল বিক্রেতারাও বলছেন, চালের দাম কমেনি।
কমেনি মাংসের দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি কোনো মাংসের দাম। কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পোলট্রি মুরগি ২০০-২২০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কর্ক ৩১০-৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০-৫৮০ টাকা কেজি বলে বিক্রেতারা জানান। গত সপ্তাহের মতোই ডিম ১৩৫-১৪০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। ৭৩০-৭৫০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না গরুর মাংস। টাউনহল বাজারের আজিজ দেওয়ান মাংস বিতানের আজিজ ও খুরশিদ মাংস বিতানের খুরশিদ বলেন, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির ১১৫০ টাকা কেজি।