![রংপুরে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম](uploads/2024/06/27/Rangpur-chilli-1719477586.jpg)
রংপুরে বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে বাজারে ৩০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, অতিবৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের গাছ পচে যাওয়ায় মরিচের উৎপাদন কম হচ্ছে। ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে রংপুর সিটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। এ সময় কথা হয় কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী শাহী মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচ খেতের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে উৎপাদন কমে গিয়ে বাজারে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক সময় দাম বাড়ান। আর কৃষক পর্যায় থেকে সাধারণের কাছে আসা পর্যন্ত দুই তিনবার হাত বদল হয়, এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হন ক্রেতারা।
রংপুর সিটি বাজারে মরিচ কিনতে আসা স্কুলশিক্ষিকা সাথী বেগম বলেন, ‘মরিচের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। মাছ-মাংসের যে দাম, এরপর যদি সবজির দামও বেড়ে যায়, তা হলে আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়বে। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের বেতন তো বাড়েনি।’
সবজি কিনতে আসা মাহফুজার রহমান জানান, বাজারে কাঁচা মরিচসহ অনেক সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। সরকারকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো দেখতে হবে।
বিক্রেতা মামুন মিয়া জানান, সবজির বাজার একেক দিন একেক রকম হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বাজারে বর্তমানে কাঁচা মরিচের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বৃষ্টিকে দায়ী করেন। অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের গাছের ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। ফলে কাঁচা মরিচের দামও বেড়ে গেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ রংপুরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সব সময় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, যাতে দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে থাকে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা কৃষকদের এখন থেকে প্যাকেটের মধ্যে কাঁচা মরিচের গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে বৃষ্টিতে গাছ পচে না যায়।’