![তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার তাগিদ](uploads/2024/06/27/bbank-news-1719458282.jpg)
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, অবাধে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষে প্রবেশের অধিকার চেয়ে সাংবাদিকদের দাবি ‘ইমোশনাল’। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের আচরণের সঙ্গে একমত হতে পারেননি এই বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাংবাদিকরা।
কর্মকর্তাদের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নমুনা গবেষণা নিয়ে ‘লাল-নীল’ সূচক সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট গণমাধ্যমে প্রকাশের সূত্র ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক নিঃসন্দেহে দেশের অন্যতম প্রধান ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’। আর দশটি এ ধরনের স্পর্শকাতর স্থাপনার মতোই এর নিরাপত্তা অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে তথ্য সরবরাহের প্রচলিত ধারা আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এসব তথ্য দেশের অর্থনীতির জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষকে জানানোর ক্ষেত্রেও গণমাধ্যমই সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে পারে।
আকস্মিকভাবে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাধা না দিয়ে এর বিকল্প ব্যবস্থা করে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে তা সবার জন্য মঙ্গলজনক হতো। বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের জন্য সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করলে সাংবাদিকরা তথ্যপ্রাপ্তির সুব্যবস্থা সম্পর্কে আশ্বস্ত হতে পারতেন। তবে জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে অ্যাক্রিডিয়েটেড ও ব্যাংকের অনুমোদিত সাংবাদিকদের জন্য আলাদা অনলাইন পোর্টালে প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা করলেও সাংবাদিকরা দেশের অর্থনীতির আসল চিত্র জনগণ ও সরকারের কাছে তুলে ধরায় কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করতে পারতেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রথম কথা হলো আমাদের তথ্য অধিকার আইনে মূল চেতনা তথ্যকে অবারিত করা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম আছে। দ্বিতীয়ত, সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে তথ্য জানতে চান তা ব্যক্তিগত তথ্য নয়, যা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন। সাংবাদিকরা যা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকে যান, তার সবই সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে চাওয়া। এ ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন ও হুইসেল ব্লোয়ার আইনে এ অধিকার দেওয়া আছে। আবার ওই একই আইনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য সংবেদনশীল হিসেবে গোপনীয় রাখার বাধ্যবাধকতা আছে তাও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।’
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘তথ্য না দিলে গুজব সৃষ্টি হয়। সেটি বিপজ্জনক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তথ্য ব্যবস্থাপনা থাকা উচিত। প্রবেশাধিকার সংকুচিত করে তথ্যপ্রবাহ বন্ধ করা আদর্শ পথ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখানে একটা ভুল-বোঝাবুঝি বা কমিউনিকেশন গ্যাপ আছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এমন ধারণা দেওয়া হয়েছে যে সাংবাদিকরা ইচ্ছামতো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঘোরাফেরা করতে চান। এটি ঠিক নয়। নিয়মিত তথ্য পেলে সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে যখন তখন প্রবেশের প্রয়োজন নেই। সাংবাদিকদের এত সময়ও নেই।’
পরামর্শ দিয়ে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘তিনটি উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্যপ্রবাহ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারে। এর একটি হলো তাৎক্ষণিক এবং অনলাইন বা ওয়েবসাইট। দ্বিতীয়টি হলো নিয়মিত ব্রিফিং। আর তৃতীয়টি হলো জরুরি সংবাদ সম্মেলন। ব্রিফিং আর সংবাদ সম্মেলনের পার্থক্য হলো একটি একতরফা আর অন্যটি ইন্টারঅ্যাকটিভ।’
তিনি বলেন, ‘এর বাইরে যদি বিশেষ কোনো কর্মকর্তার সাক্ষাৎ চেয়ে কোনো সাংবাদিক অনুমতি পেয়ে যান সেটি রুদ্ধ করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা কর্তৃক সাংবাদিককে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়ার স্বাধীনতার ব্যাপারে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দিক থেকে কোনো কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ থাকা যাবে না।’
এ প্রসঙ্গে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘‘যা হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতি এত ওপেনলি কঠোর না হলেও পারত বাংলাদেশ ব্যাংক। আমি মনে করি, একটা পয়েন্টে গিয়ে আমাদের থামতে হবে। সবাইকে ছাড় দিয়েই একটা বোঝাপড়া তৈরি করতে হবে। আমরা পেশাদার সাংবাদিক আর ওনারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকার। আমাদের উভয়ের দায়িত্ব হলো দেশ ও জাতির স্বার্থে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা। কোনো পক্ষই যেন সৃষ্ট বিষয়গুলো ‘ইগো’ হিসেবে না নেয়।”
শামসুল হক জাহিদ আরও বলেন, ‘‘আত্মসমালোচনা করে আমি বলতে পারি যে আমরা ব্যাংক বিটের সাংবাদিকরা সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘রুলস অব বিজনেস’ ও বিশেষায়িত কোর অর্থনৈতিক ইস্যুসমূহ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখি না। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ন্যূনতম ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি (আর্থিক বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞান) নেই। যে রিপোর্টটি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা একেবারেই ‘অনৈতিক কাজ’ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব কক্ষে সব ফাইলেই সাংবাদিকদের অ্যাকসেস থাকতেই হবে, এটা ঠিক নয়। এতটা অবারিত সুযোগ থাকা উচিত নয়। আমাদের সময়ে আমরাও অনেক কর্মকর্তার কক্ষে যেতাম। সামনেই ফাইলের স্তূপ থাকত। আমাদের বলে দিতেন এটা দেখতে পারবেন। (আরেকটা দেখিয়ে) ওটা নয়। এইটুকু সীমাবদ্ধতা দেওয়ার অধিকার বাংলাদেশ ব্যাংকের রয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে তথ্যপ্রবাহের সুযোগ বাংলাদেশ ব্যাংক অবরুদ্ধ করে দেবে।’’
অর্থনীতিসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞজনদের অনেকেই বলেছেন, বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই সাংবাদিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে একটি বিধিবদ্ধ নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও রাষ্ট্রীয় ও সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে তথ্য প্রকাশ করে থাকে। কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষে সাধারণের অবাধ যাতায়াত নিরাপত্তাঝুকিঁ তৈরি করতে পারে। দু-একজন গভর্নর তাদের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিয়েছেন সত্য, কিন্তু এটি ‘গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস’ নয়।
বেসরকারি খাতে দেশের একজন শীর্ষ ব্যাংকার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের প্রবেশে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। এখনো তারা চাইলে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্বানুমতি নিয়ে তার কাছে যেতে পারেন।
সাংবাদিকবান্ধব এই ব্যাংকার বলেন, “আমার পক্ষে এ ক্ষেত্রে বক্তব্য দেওয়াটা ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’র মতো পরিস্থিতি। নাম-পরিচয় বলা যাবে না। নিরপেক্ষভাবে যদি বলি, এতদিন অবাধে প্রবেশের সুযোগ ছিল। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা দিচ্ছে না। এখানে সাংবাদিকদের দাবি হলো একেবারেই ‘ইমোশনাল ডিমান্ড’। সাংবাদিকরা যখন তখন যত্রতত্র রুমে রুমে যাবেন, এটা ঠিক নয়। আবার আমি এটাও বলব যে দেশের স্বার্থে যেসব তথ্য প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা যেন সাংবাদিকরা পান- সেটাও বাংলাদেশ ব্যাংককে নিশ্চিত করতে হবে।”
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার এ বিষয়ে খবরের কাগজকে বলেন, ‘সব দেশেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নিয়মের মধ্যে তথ্য শেয়ার করে। রুমে রুমে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা ঠিক নয়। আমাদের সবাইকে নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।’
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে যেসব তথ্য স্পর্শকাতর নয় তা তো দেশের স্বার্থেই জনগণকে অবহিত করতে হবে। সুতরাং এসব তথ্যপ্রবাহে এত রাখঢাক না করাই উত্তম।’
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানও বটে। এর সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানে অনেক তথ্য এবং ভৌত ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামো সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। ২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির পর এ ‘সুরক্ষা’র বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। এবার যে নিষেধাজ্ঞা বা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, সেটি শুধু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে হলে প্রশ্ন থেকেই যাবে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী, চাকরির তদবিরকারী ও অন্য সবার ক্ষেত্রেও এ কড়াকড়ি সমানভাবে আরোপিত হলে বোঝা যাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সত্যিকার অর্থেই নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাতেই কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক গাম্ভীর্য ও স্বাতন্ত্র্য অটুট থাকবে।
মিডিয়ার প্রবেশাধিকার খর্ব করার রীতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ও তৎপরবর্তী আচরণে সাংবাদিকরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে গভর্নরের তিক্ততা সাধারণের আলোচনায় আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও গণমাধ্যমের মধ্যে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আর এই দূরত্ব নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংককেই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ‘প্রবেশাধিকার যতটুকুই দেওয়া হোক না কেন, তা যেন মর্যাদাপূর্ণ হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। নিরাপত্তারক্ষী থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত যেন সবাই সাংবাদিকদের দেওয়া অধিকারটুকুর প্রতি মর্যাদাশীল আচরণ করেন।’
এদিকে গত ১৫ মে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, অবাধ তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংরক্ষিত সকল প্রকাশযোগ্য অর্থনৈতিক তথ্য ও উপাত্ত ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছে। কোনো বিশেষ প্রয়োজনে কোনো নির্দিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রবেশ পাস সংগ্রহ করে উক্ত কর্মকর্তার কাছে সংবাদকর্মীরা প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও নিতে পারেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে প্রেস কনফারেন্স, প্রেস রিলিজ ও অন্যান্য মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করছে। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে সংবাদকর্মীদের প্রবেশ ও তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিষয়টি স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রদানযোগ্য তথ্য প্রদান, তার ব্যাখ্যা ও সম্পূরক তথ্যাদি দেওয়ার জন্য নির্বাহী পরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা মুখপাত্র এবং পরিচালক পর্যায়ের দুজন কর্মকর্তা সহকারী মুখপাত্র হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। যেকোনো সংবাদকর্মী অফিস চলাকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনে প্রবেশ করে উল্লিখিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগপূর্বক তথ্য সংগ্রহ ও বক্তব্য গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের কাছে সকল প্রদানযোগ্য তথ্য প্রদানের জন্য বদ্ধপরিকর। সে আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্ণিত পদ্ধতিতে তথ্য সরবরাহ ও তার ব্যাখ্যা প্রদান করছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জনগণের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন:
> ব্যাংকিং খাতে সুশৃঙ্খলা আনতে সফল হবে কি বাংলাদেশ ব্যাংক?
> দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক