![চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭ শতাংশ](uploads/2024/04/17/1713293211.gdpkk.jpg)
বিশ্বব্যাংকের পর এবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ চলতি বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমার পূর্ভাবাস দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের এপ্রিল সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়। আইএমএফ পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপির হিসাব প্রকাশ করে থাকে।
আইএমএফ বলেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর আগে বিশ্বব্যাংক এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ডেভেপলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে, অপর উন্নয়ন সহযোগী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলেছে। ম্যানিলাভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফ চলতি বছরের জন্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে আভাস দিয়েছে, তা সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অপেক্ষা অনেক কম। চলতি অর্থবছর বাজেট ঘোষণার সময় সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পরে তা সংশোধন করে নির্ধারণ করা হয় ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে বছর শেষে সংশোধিত প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি অর্ধেক কমে গেছে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, বৈশ্বিকসংকট এবং অম্ভ্যন্তরীণ অবস্থার প্রেক্ষাপটে এ বছর সংশোধিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, নানা ধরনের সংস্কার প্রবৃদ্ধির আগের ধারা ফিরিয়ে আনতে পারে। এ জন্য মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা; মুদ্রা ও আর্থিক নীতি কঠোর করা; ব্যাংক খাত সংস্কারে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গ মূল্যস্ফীতি
প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিরও পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে। আগামী বছর তা কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নামতে পারে। তবে ২০২৯ সালে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
দেশে বর্তমানে সাড়ে ৯ শতাংশের ওপর মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। গত বছরের মার্চ মাসে ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির টানা যাত্রা শুরু হয়। এরপর কোনো মাসেই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে গত মার্চে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। সেই হিসাবে টানা ১৩ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে।
এমএ/