![শান রাজ্যে জান্তার ৫ সেনা নিহত](uploads/2024/02/23/1708662039.myanmar.jpg)
মায়ানমারের শান রাজ্যে বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে পাঁচ সেনা হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মায়ানমার নাউ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের রাজধানী তাউঙ্গির কাছের এলাকার দখল নিয়ে পা-ও ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (পিএনএলএ) যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় জান্তা সেনারা।
পিএনএলএ জানিয়েছে, তাউঙ্গি থেকে ১৫ মাইল দূরে হপং শহরতলিতে পিএনএলএ যোদ্ধাদের অবস্থানে বুধবার ভোরবেলা হামলা শুরু করে জান্তা সেনারা। পরে কয়েক ঘণ্টা ধরে লড়াই চলে। শেষে বিদ্রোহী বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে টিকতে না পেরে পিছু হটে জান্তা বাহিনী। সংঘর্ষে ৫ সেনা নিহত হয়।
এ দিকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানে বাধ্য করার জন্য রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহরতলির বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে শতাধিক মুসলমানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। যাদের অধিকাংশই তরুণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মায়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা জানিয়েছে, গত ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি গ্রামগুলো থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যরা জোর করে মুসলমানদের ধরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে পা জুন চাউং গ্রাম থেকে ১৩ জন, তাত মা চাউং থেকে ৫৫, এনগা কিয়াইং তাউক গ্রাম থেকে ৩৩ ও কিউক ফিউ তাউং গ্রাম থেকে ১০ জনকে তারা নিয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দা নারিনজারাকে বলেছেন, ‘অপহরণের শিকার অধিকাংশই বয়সে তরুণ। তাদের জান্তা সেনাবাহিনীর ৫৩৫তম ও ৩৫৩তম ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও অনেককেও ধরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
এমন অবস্থায় তরুণ বাসিন্দারা গ্রামগুলো থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকে জান্তা বাহিনীতে যোগদানের থেকে আরাকান আর্মিতে যোগদানে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন সেই বাসিন্দা।
তরুণদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করে সামরিক চাকরিতে বাধ্য করা মানবাধিকার লঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এই ইস্যুতে জান্তা কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। এর আগে মায়ানমারের জান্তা-সমর্থিত গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছিল, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুসলিমদের পাশে চায় জান্তা কর্তৃপক্ষ। সূত্র: নারিনজারা