![নির্বাচনি ফলাফলে কারচুপির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে ইমরানের দল](uploads/2024/02/24/1708757426.pti.jpg)
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনি ফলাফলে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এই পিটিশন জমা দেওয়া হয়।
নির্বাচনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর পিএমএল-এন ও পিপিপি যখন জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তখন নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে এই পিটিশন জমা দিল ইমরানের দল।
পিটিশনে পিটিআইয়ের দাবি, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পিটিআইয়ের প্রার্থীরা ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে। তবে ভোট কারচুপি করে তাদের জয়ী দেখানো হয়েছে ৯২টি আসনে।
ইমরান খান ইতোমধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটিকে ‘মাদার অব অল রিগিং’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলছেন, ‘আমার দলের ম্যান্ডেট চুরি হয়েছে।’
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত জানান, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) অন্য সদস্যদের নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আলী খান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তা নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন।
পিটিশনে আগের নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ৩০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠন বন্ধও রাখতে বলা হয়েছিল।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সেই আবেদনের ওপর শুনানির দিনও নির্ধারণ করেন আদালত। তবে আবেদনকারী সেনা কর্মকর্তা সেদিন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পিটিশন বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে আলী খানকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়। সূত্র : এনডিটিভি
পপি/