![রাখাইন রাজ্যের রাজধানীর কাছে আরাকান আর্মি](uploads/2024/03/09/1709924808.arakan armikk.jpg)
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের আরও কাছে চলে গেছে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধারা। বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে এ তথ্য।
গত ৬ মার্চ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএন ওসিএইচএ। সেখানে সংস্থাটি জানিয়েছে, এএ যোদ্ধারা সিত্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া ইনফোগ্রাফিকের মাধ্যমে বলা হয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর রাখাইন রাজ্যে ও পালেতোয়ার চিন রাজ্যে আনুমানিক ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অন্যদিকে পুরো মায়ানমারজুড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাখাইনে হামলা ও সংঘর্ষ আগের চেয়ে বেড়েছে। সেখানের বাসিন্দারাও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে জান্তার ঘাঁটি লক্ষ্য করেও গোলাবর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শান রাজ্যে ‘কামিকাজে ড্রোন’ হামলা!
মায়ানমারের সামরিক বাহিনী দক্ষিণের শান রাজ্যে ‘কামিকাজে ড্রোন’ উড়িয়েছে বলে খবর এসেছে। মায়ানমার নাও-এর খবর বলছে, শান রাজ্যের সিসেঙ শহরে আক্রমণের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল ওই ড্রোনগুলো। সে সময় এগুলোতে বোমা রাখা ছিল। এক বিবৃতিতে গত বুধবার এ খবর জানিয়েছে পিএ-ও ন্যাশনাল লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএনএলএ)।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানায়, ওই শহরে সামরিক বাহিনী প্রায় ১০০ বার গোলা ও কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে আক্রমণ চালিয়েছে। আক্রমণে কোনো বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
গত বছর জান্তাপ্রধান মিন অঙ হ্লাইঙ স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, তার সেনারা উত্তরের শান রাজ্যে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সে সময় সেখানে তাং, কোকাং ও রাখাইনের সশস্ত্র জোট আক্রমণ চালিয়েছিল। সূত্র: নারিনজারা, ইরাবতি