![মায়ানমারে শিকল পায়ে আটক ২৪ রাজনৈতিক বন্দি](uploads/2024/03/18/1710728671.Mayanmar.jpg)
মায়ানমারের সামরিক জান্তা রাজনৈতিক বন্দিদের হত্যা ও নির্যাতনে জড়িত। এমন অভিযোগ বেশ পুরোনো। রবিবার (১৭ মার্চ) নারিনজারায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির কারা কর্তৃপক্ষও কারাবিধির বাইরে এসে রাজনৈতিক বন্দিদের অন্যায়ভাবে নির্যাতন করছে।
রাজনৈতিক বান্দিদের নিয়ে কাজ করা মায়ানমারভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পলিটিক্যাল প্রিজনারস নেটওয়ার্ক মায়ানমার (পিপিএনএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজধানী ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারের ভেতর কমপক্ষে ২৪ রাজনৈতিক বন্দিকে হাতে ও পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখা হয়েছে।
অবৈধ পদার্থ সঙ্গে রাখার দায়ে কারা কর্তৃপক্ষ গত ৫ নভেম্বর তাদের কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে ও পেছনে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করে। এরপরেই তাদের পায়ে ও হাতে শিকল বেঁধে নির্জন সেলে রেখে দেওয়া হয়। সেই হিসাবে তারা প্রায় ৪ মাসের বেশি সময় এমন অবস্থাতেই রয়েছে।
যদিও দেশটির কারাবিধির ৫৭-অনুচ্ছেদ মোতাবেক ৯০ দিনের বেশি একজন ব্যক্তির পায়ে শিকল বেঁধে রাখা যায় না। এ ছাড়া আর্টিকেল-৫৮ তে বলা হয়েছে, জেল ওয়ার্ডেন শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে পায়ের শিকল ব্যবহার করতে পারেন। পিপিএনএমের দাবি টানা ৪ মাস বন্দিদের শেকল পরিয়ে রেখে নির্জন সেলে আটকে রাখার মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষ কারাবিধি অমান্য করেছে।
এই রাজনৈতিক বন্দিদের বয়স ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তারা ৫৪(ক), ৫২(ক), ১৯(চ) ও বিস্ফোরক পদার্থ আইনের ৩ ধারার অধীনে অভিযুক্ত। তাদের বেশ কয়েকজনের নামও প্রকাশ করেছে পিপিএনএম।
এই ইস্যুতে এখন পর্যন্ত দেশটির কারা কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জান্তা কর্তৃপক্ষ বরাবরই রাজনৈতিক বন্দিদের নিপীড়নের বিষয়টি অস্বীকার করে থাকে। সূত্র: নারিনজারা