![ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা](uploads/2024/06/02/Ukrain-1717296479.jpg)
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পাঁচ অঞ্চলের বিদ্যুৎ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, শনিবার (১ জুন) সকালে রুশ হামলায় পূর্ব দোনেৎস্ক, দক্ষিণ-পূর্ব ঝাপোরিঝিয়া, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, মধ্য কাইরোভোহরাদ এবং পশ্চিমের আইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, ‘শনিবার সকালে রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনাকে লক্ষ্য করে আরও একটি হামলা চালিয়েছে। গত মার্চ থেকে বেসামরিক বিদ্যুৎ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে এটি ষষ্ঠ বড়, জটিল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা।’
ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা রাশিয়ার ছোড়া ৫৩টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৩৫টি এবং ৪৭টি ড্রোনের মধ্যে ৪৬টিকে ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিমানবাহিনীর কমান্ডার।
ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বেসামরিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ডিটিইকে জানিয়েছে, হামলার সময় তাদের দুটি থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানা হয়েছে এবং সেখানকার সরঞ্জাম গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলছেন, হামলার পর আগুন নেভাতে বেশ কয়েকটি সাইটে কাজ করেছে দমকল বাহিনী। হতাহতের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
এদিকে, এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাস বলেছেন, ‘রাশিয়ার বিজয় প্রশ্নে আমাদের কোনো দ্বিতীয় পরিকল্পনা নেই। কারণ তা হলে আমরা প্রথম পরিকল্পনায় মনোযোগ দেওয়া থামিয়ে দেব, আর তা হলো– ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন থামাতে সহায়তা করা।
রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে নিজেদের মোট জিডিপির এক শতাংশেরও বেশি কিয়েভকে সহায়তা হিসেবে দিয়েছে এস্তোনিয়া সরকার। দেশটি এরই মধ্যে শঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো এস্তোনিয়ার মতো দেশগুলোকে মস্কোর কব্জায় নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। সূত্র: গার্ডিয়ান