![অপুষ্টি থেকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে গাজার বহু শিশু](uploads/2024/06/15/Gaza-1718421211.jpg)
অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার দুই শরও বেশি শিশু। এ থেকে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে তারা। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক এ তথ্য জানিয়েছেন।
হামাসের জবাব ও পরিবর্তন প্রস্তাবের পর একরকম থমকে আছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি।
এর মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী হেলিকপ্টার, ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দিয়ে রাফায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। সেখানকার সড়কেও ইসরায়েলি সেনাদের ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, নিকট ভবিষ্যতে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা বাইডেনকে প্রশ্ন করেছিলেন। তারা জানতে চেয়েছিলেন, দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যাওয়া সম্ভব হবে কি না। জবাবে বাইডেন বলেন, না, তবে আমি আশা হারাইনি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজা সিটির আবাসিক ভবনে বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।
এদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন ও রকেট দিয়ে বড় মাপের হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এর জবাবে ইসরায়েলও দক্ষিণ লেবাননে বোমাবর্ষণ করেছে। সেখানকার সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৩৭ হাজার ৩২২ জন মারা গেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আল-জাজিরা। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৮৫ হাজার ৩৭ জন।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি মারা যান। এ ছাড়া হামাস জিম্মি করে নিয়ে আসে ২৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে। এর জেরে হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করে।
কিন্তু তাদের নির্বিচার হামলায় গাজায় বেসামরিক মানুষই প্রাণ হারিয়েছে বেশি। পুরো বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
এদিকে হামাসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় তাদের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের কতজন বেঁচে আছেন, তা জানেন না তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই তথ্য জানান তিনি। ইসরায়েল অনুমান করছে, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জিম্মি মারা গেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা