![ঘুম থেকে উঠে যে দোয়া পড়বেন](uploads/2024/01/11/1704945210.sleaping.gif)
ঘুম আল্লাহতায়ালার নেয়ামত। ঘুমের মাধ্যমে ক্লান্তি দূর হয়। শরীর চাঙা হয়। কাজের স্পৃহা বাড়ে। ঘুম অনেকটা মৃত্যুর মতোই ব্যাপার। ঘুমালে পৃথিবীর কোনো কিছুই ব্যক্তিকে স্পর্শ করে না।
ঘুম থেকে জেগে ওঠা আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন এবং দয়া। এজন্য তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আল্লাহর প্রশংসা করতেন। দোয়া পড়তেন। ঘুম থেকে ওঠার দোয়া ও আমল সম্পর্কে হাদিসে বিভিন্ন নির্দেশনা এসেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে জেগে এই দোয়া পড়তেন—
বাংলা উচ্চারণ: ‘আলহামদুলিল্লা হিল্লাহিজি আহয়ানা, বাদামা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
বাংলা অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহতায়ালার জন্য, যিনি মৃত্যুর পর পুনরায় আমাদের জীবিত করেন এবং পরিশেষে তাঁর দিকেই ফিরে যেতে হবে। (বুখারি, হাদিস: ৬৩১২)
ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) আরেকটি দোয়া পড়তেন, সেটা হলো—
বাংলা উচ্চারণ: ‘আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি রাদ্দা আলাইয়া রুহি, ওয়া আফানি জাসাদি, ওয়া আজিনা লি বিজিকরিহি।’
বাংলা অর্থ: সব প্রশংসা ওই সত্তার জন্য, যিনি আমাকে আমার রুহ ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার শরীর হেফাজত করেছেন। আমাকে তাঁর জিকিরের অনুমতি দিয়েছেন। (আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লা ইলাহ, ৯)
ঘুমানোর পর মানুষের মধ্যে রুহ থাকে না। রুহ ঘুরতে থাকে। ঘুম ভাঙার সময় আল্লাহতায়ালা রুহ ফিরিয়ে দেন। রুহ ফিরে আসে বলেই মানুষ বেঁচে যায়। এর কৃতজ্ঞতা আদায়ে দোয়া পড়লে বান্দার সব সগিরা গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন; যদিও গুনাহের পরিমাণ সমুদ্রের ফেনার মতো হয়। দোয়াটি হলো—
বাংলা উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’
বাংলা অর্থ: এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ (উপাসক) নেই। তিনি এক, তার কোনো শরিক নেই। সব রাজত্ব তাঁরই এবং তাঁরই জন্য সব প্রশংসা। আর তিনি সর্বশক্তিমান। (আমালুল ইয়াউমি ওয়াল্লা ইলাহ, ১০)