![ঈদুল আজহায় করণীয়-বর্জনীয়](uploads/2024/06/13/15-03-1718262033.jpg)
কোরবানির দিন বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে দিবসসমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন। এরপর এর পরের তিন দিন।’ (আবু দাউদ, ১৭৬৫)। এই কোরবানির দিনে কিছু করণীয়-বর্জনীয় রয়েছে। এখানে সেগুলো তুলে ধরা হলো—
- খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা।
- মিসওয়াকসহ অজু করে ভালোভাবে গোসল করা।
- যথাসাধ্য উত্তম পোশাক পরা।
- শরিয়তসম্মত সাজসজ্জা গ্রহণ করা।
- আতর কিংবা অ্যালকোহলমুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করা।
- কোরবানির ঈদে নামাজের আগে কোনো কিছু না খাওয়া মুস্তাহাব। নামাজের পরে প্রথমে কোরবানি করা পশুর গোশত খাওয়া সুন্নত। (তিরমিজি, ৫৪৫)
- সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। ঈদুল আজহার নামাজ ঈদুল ফিতরের নামাজের তুলনায় আগে আগে পড়া ভালো।
- পুরুষ হোক বা নারী, সবার জন্য ঈদের নামাজের আগে কোথাও কোনো ধরনের নফল নামাজ না পড়া এবং নামাজের পর ঈদগাহেও না পড়া।
- ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়া। (বুখারি, ৯৬৫)
- রিকশা, ভ্যান, ঘোড়া, উট বা অন্য কোনো কিছুতে চড়ে ঈদগাহে না যাওয়া; বরং হেঁটে যাওয়া ভালো। তবে ফেরার পথে কোনো কিছুতে চড়ে ফিরলে তাতে দোষের কিছু নেই। (তিরমিজি, ১২৯৫)
- ঈদগাহে যাওয়ার সময় মধ্যমপন্থায় উচ্চ শব্দে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা। তাকবিরে তাশরিক হলো—
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ্। - সম্ভব হলে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া, আরেক রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরা। (বুখারি, ৯৮৬)
- ঈদের দিন আনন্দ প্রকাশ করা, বেশি বেশি সদকা করা, আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করা মুস্তাহাব। (ফাতহুল কাদির, ২/৫১৭)
- ঈদের দিন একে অপরের সঙ্গে দেখা হলে শুভেচ্ছা বাক্য বলা। এরকম বলা যেতে পারে— বাংলা উচ্চারণ: ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।’ বাংলা অর্থ: আল্লাহ কবুল করুন আমাদের এবং আপনার পক্ষ থেকে।’ (বায়হাকি, ৩/৪৪৬)
- ঈদের দিনকে খেলাধুলা, অহেতুক ও অবৈধ বিনোদন এবং পাপাচারে পরিণত না করা।
লেখক: গবেষক