![জুমার দিনের ফজিলত](uploads/2024/06/18/20-2-1718722480.jpg)
জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের নানা ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর জিকিরের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়। যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)
দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন জুমার দিন
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। সর্বশেষ কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবার দিনে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৮৫৪)
সপ্তাহের সেরা দিন জুমা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪)
জুমার দিন আগে মসজিদে যাওয়ার সওয়াব
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জুমার দিন উত্তমভাবে গোসল করল এবং (সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) প্রথম সময়ে মসজিদে এল, সে যেন একটি উট দান করল। যে দ্বিতীয় সময়ে এল, সে যেন একটি গাভী দান করল। যে তৃতীয় সময়ে এল, সে যেন একটি শিংবিশিষ্ট দুম্বা দান করল। যে চতুর্থ সময়ে এল, সে যেন একটি মুরগি দান করল। আর যে পঞ্চম সময়ে এল, সে যেন একটি ডিম দান করল। তারপর ইমাম যখন খুতবা দেওয়ার জন্য বের হন, তখন ফেরেশতারা আলোচনা শোনার জন্য হাজির হয়ে যান।’ (বুখারি, হাদিস: ৮৮১)
গুনাহ মাফের দিন জুমা
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তা হলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহের জন্য কাফফারা হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৩)
জুমার দিন দোয়া কবুল হয়
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, কোনো মুসলিম বান্দা যদি এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাকে অবশ্যই তা দিয়ে থাকেন এবং তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন, সে সময়টি খুবই সংক্ষিপ্ত। মুসলিমের আরেক বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এটা অতি স্বল্প সময় মাত্র।’ (মুসলিম, হাদিস: ৮৫২)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদরাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল