![পশুকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন](uploads/2024/06/13/15-02-1718261456.jpg)
ঈদুল আজহার অন্যতম অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। কেউ কেউ এরই মধ্যে পশু কিনে নিয়েছেন। আগে আগে পশু কেনা উত্তম কাজ। এতে পশুকে আদর-যত্ন করা যায়। পশুর প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়। ইসলাম তো সেই পশুই কোরবানি দিতে বলেছে, যে পশু আদরের, যত্নের।
পশু কিনে নিজ তত্ত্বাবধানে রাখা উচিত। পশুকে নিয়মিত সুষম খাবার দিন। গায়ে ময়লা লেগে থাকলে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দিন। যে ঘরে পশু থাকবে, সে ঘরটিও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে কিনা খেয়াল রাখুন। ভুলে যাবেন না, এই পশু আল্লাহকে উৎসর্গ করা হবে। এটি আপনার কাছে পবিত্র আমানত। এই আমানতের যত্নেই জান্নাতের রত্ন মিলবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরবানির পশুর প্রত্যেকটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ, ৩১২৭)
অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে কোরবানির পশুকে পায়ে হাঁটিয়ে বাড়ি নেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। অধিকাংশ পশুব্যবসায়ী একটি গাড়িতে একাধিক পশু গাদাগাদি করে হাটে নিয়ে যান। এমন না যে পাঁচ-দশ মিনিটের রাস্তা। দীর্ঘপথে দীর্ঘসময় এই পশুগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। একটু যে বসে জিরিয়ে নেবে, তার সুযোগটুকুও থাকে না। পশুর প্রতি এই অবিচার কেন? এর জন্যে আল্লাহ যদি বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান, কী জবাব দেবেন?
মনে রাখবেন, পশুরাও আল্লাহর সৃষ্টি। তাদের যত্ন নেওয়াও ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘যেকোনো প্রাণীর ওপর দয়া করার মধ্যেও রয়েছে প্রভূত সওয়াব।’ (বুখারি, ৬০০৯)
এখন আবহাওয়া খুবই গরম। পশুকে গোসল করানো ও বেশি করে পানি খাওয়ানো প্রয়োজন। পানির সঙ্গে স্যালাইনও খাওয়ানো যেতে পারে। পশুকে কোনোভাবেই রাসায়নিক খাবার দেওয়া যাবে না। স্বাভাবিক খাবার দেবেন। কোরবানির পশুকে জবাই করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। পশুটিকে খুব দ্রুত জবাই করতে হবে। কোনোরকম কষ্ট দেওয়া যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ সবাইকে দয়া করার হুকুম দেন। তাই যখন জবাই করো, তখন দয়া করো। জবাই করার আগে (যাতে পশুর কষ্ট কম হয়) ছুরিতে ধার দিয়ে নাও।’ (নাসায়ি, ২/১৮৩)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া