![বিপদ দূর করার ৬ আমল](uploads/2024/01/25/1706175856.amol.jpg)
প্রতিনিয়ত আমরা নানা রকম বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি। মুমিনের জন্য বিপদ হলো আল্লাহ প্রদত্ত পরীক্ষা। মুমিনরা সব যুগে বিপদের পরীক্ষায় সফলও হয়েছেন। বিপদে নেককার ও মুমিনদের কোনো ভয় নেই। নবি, সাহাবি ও তাবেয়িদের থেকে বিপদ দূরীকরণে অসংখ্য আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। ছয়টি আমলের কথা তুলে ধরা হলো-
তওবা করা : পৃথিবীতে সংঘটিত বিপর্যয়ের অধিকাংশই মানুষের পাপকর্মের ফল। তাই নেককারদের উচিত, সর্বস্তরের মুসলমানদের নিয়ে তওবা করা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে-স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যাতে তিনি তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ থেকে) ফিরে আসে।’(সুরা রুম, ৪১)
তাকওয়া অবলম্বন করা : তাকওয়া মুমিনের অমূল্য সম্পদ। আল্লাহ তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন। তাই সংকট ও বিপদে সর্বদা আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে। নফসের ধোঁকায় পড়ে কখনোই পাপকর্মে জড়ানো যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘যে কেউ আল্লাহতায়ালার ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার জন্য সংকট থেকে উত্তরণের পথ তৈরি করে দেবেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিক দেবেন—যা তার ধারণারও বাইরে।’ (সুরা তালাক, ২)
ধৈর্য ও নামাজ আদায় : কোরআন-হাদিসে নামাজের ব্যাপারে যেমন গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তেমনি ধৈর্যধারণের গুরুত্বের কথাও বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বিপদ-আপদে ধৈর্যের সঙ্গে নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।’ (সুরা বাকারা, ১৫৩)
সদকা করা : আল্লাহর রাস্তায় সদকার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, সদকা মানুষের বিপদ ও চিন্তা দূর করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অতিসত্বর দানের দিকে ধাবিত হও। কেননা বিপদাপদ দানকে অতিক্রম করতে পারে না।’ (শুয়াবুল ঈমান, ৩০৮২)
দোয়া করা : দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। বান্দা যদি আল্লাহর কাছে দোয়া না করে তাহলে তিনি রাগান্বিত হন। রাসুলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া অন্য কোনো কিছুই ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ছাড়া অন্য কোনো কিছুই হায়াত বাড়াতে পারে না।’ (তিরমিজি, ২১৩৯)
দরুদ পাঠ করা : রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ভালোবাসা তৈরির অন্যতম মাধ্যম দরুদ পাঠ। তার থেকে দূরীভূত হবে দুশ্চিন্তা ও বিপদাপদ। একজন সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলেছিলেন, তিনি তার ওপর সর্বদা দরুদ পাঠ করবেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘যদি তুমি তাই করো, তবে তোমার সব চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দূর করা হবে (প্রয়োজন পূরণ হবে) এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।’ (তিরমিজি, ২৪৫৭)
লেখক : আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক
আরও পড়ুনঃ বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া