কবর খনন করার শরয়ি পদ্ধতি দুটি—এক. লাহ্দ—কোনো কোনো এলাকায় একে বুগলি কবরও বলা হয়। এর পদ্ধতি হলো, প্রথমে চার কোণা বিশিষ্ট একটি গর্ত খনন করবে—যা লম্বায় মৃত ব্যক্তির উচ্চতার চেয়ে একটু বেশি হবে এবং চওড়া হবে লম্বার অর্ধেক পরিমাণ। আর গভীরতার ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির দেহ যতটুকু লম্বা ততটুকু গভীর হওয়া উত্তম। তবে সর্বনিম্ন তার অর্ধেক পরিমাণ গভীর হলেও চলবে। এরপর কিবলার দিকে করে মৃত ব্যক্তিকে শোয়ানোর জন্য ওই গর্তের ভেতরে ডান দিকে আরেকটি ছোট গর্ত খনন করবে। এই ছোট গর্তটির গভীরতা মৃত ব্যক্তির দেহের প্রশস্ততার চেয়ে একটু বেশি হবে এবং জমিনের অংশ এতটা ঢাল হবে যে, মৃত ব্যক্তিকে শোয়ালেই তার সিনা কিবলামুখী হয়ে যায়। অতপর উক্ত গর্তের ভেতর মৃত ব্যক্তিকে রেখে গর্তের মুখে বাঁশ ইত্যাদি খাড়া করে দিয়ে ছোট গর্তটি বন্ধ করে দেবে।
দুই. শাক—কবর খননের দ্বিতীয় পদ্ধতি। যাকে অনেকে সিন্দুক কবরও বলে। এর পদ্ধতি হলো, প্রথমে মৃত ব্যক্তির কোমর বা সিনা সমপরিমাণ একটি গর্ত খনন করবে। এরপর তার মাঝ বরাবর আরেকটি ছোট গর্ত খনন করবে। এই গর্তের প্রশস্ততা মৃত্য ব্যক্তিকে কিবলামুখী করে শোয়াতে যতটুকু প্রশস্ততার প্রয়োজন হয় ততটুকু রাখবে এবং গভীরতা মৃত ব্যক্তির দুই কাঁধের প্রশস্ততার চেয়ে একটু বেশি রাখবে। এরপর উক্ত ছোট গর্তের ওপর বাঁশ ইত্যাদি বিছিয়ে ওপরের পুরো অংশ মাটি দিয়ে ভরে দেবে।
যেসব জায়গার মাটি শক্ত ও মজবুত, সেখানে লাহ্দ তথা বুগলি কবর খনন করাই সুন্নত। তবে যেসব জায়গার মাটি নরম, সেখানে সিন্দুক কবর খনন করবে। (মুসলিম, হাদিস: ৯৬৬; আবু দাউদ, হাদিস: ৩২০০; রদ্দুল মুহতার, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৩৪)
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক