ঢাকা ১২ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

কোরআনে আছে যে নবিদের নাম

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২২ মে ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
কোরআনে আছে যে নবিদের নাম
পবিত্র কোরআনের ছবি। ইন্টারনেট

আল্লাহতায়ালা পথভোলা মানুষকে হেদায়েতের পথে, আলোর পথে ও সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন। এ মহান নবুয়তি দায়িত্ব পালনের জন্য আল্লাহতায়ালা নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ ও পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষদের নির্বাচিত করেছেন। তাদের গোটা জীবনের মিশন ছিল মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেওয়া। সৎ, সুন্দর, সঠিক ও কল্যাণের দিকে আহ্বান করা। 

যেসব নবির প্রতি কিতাব নাজিল করা হয়েছে এবং নতুন শরিয়ত দেওয়া হয়েছে, তাদের রাসুল বলা হয়। আর প্রত্যেক পয়গম্বরকেই নবি বলা হয়, তাকে নতুন কিতাব ও নতুন শরিয়ত দেওয়া হোক বা না হোক। (শরহুল আকাইদিন নাসাফিইয়া: ১৩)

আবু জর গিফারি (রা.) একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, নবিদের সংখ্যা কত? তিনি জবাব দিলেন, ১ লাখ ২৪ হাজার। তাদের মধ্যে ৩১৫ জন হচ্ছেন রাসুল। (মিরকাত, মোল্লা আলি কারি, ১/৫৭)

তবে কোরআনে কারিমে মাত্র ২৫ জন নবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের কারও কারও আলোচনা বিভিন্ন সুরায় একাধিক জায়গায় স্থান পেয়েছে। আবার কারও কারও নামে সুরার নামকরণ করা হয়েছে। 

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবির নাম হলো—

১. আদম (আ.)
২. নুহ (আ.)
৩. ইদরিস (আ.)
৪. হুদ (আ.)
৫. সালিহ (আ.) 
৬. ইবরাহিম (আ.)
৭. ইসমাইল (আ.)
৮. ইসহাক (আ.)
৯. লুত (আ.)
১০. ইয়াকুব (আ.)
১১. ইউসুফ (আ.)
১২. শুয়াইব (আ.)
১৩. মুসা (আ.)
১৪. হারুন (আ.)
১৫. ইলিয়াস (আ.)
১৬. ইয়াসা (আ.)
১৭. দাউদ (আ.)
১৮. সুলাইমান (আ.)
১৯. আইয়ুব (আ.)
২০. ইউনুস (আ.)
২১. জুলকিফল (আ.)
২২. জাকারিয়া (আ.)
২৩. ইয়াহইয়া (আ.) 
২৪. ইসা (আ.)
২৫. মুহাম্মাদ (সা.)

লেখক: আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক

মনের আশা পূরণের দোয়া ও আমল

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
মনের আশা পূরণের দোয়া ও আমল
প্রতিটি মুসলমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন থাকে হজ করা। ছবি: হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব

দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। আমল ও দোয়ার মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব হয়। আল্লাহ সে বান্দাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, যারা তাঁর কাছে চায়। আর যারা চায় না তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থির করে। যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে, তখন সে হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎকণ্ঠিত।’ (সুরা মাআরিজ, আয়াত: ১৯-২০)

বিপদ-আপদে মুষড়ে না পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। মানুষের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। হাদিস থেকে দোয়া কবুলের তিনটি অবস্থা জানা যায়— 

  • দোয়াকারীর দোয়া হুবহু কবুল করে দুনিয়াতে দেওয়া হয়।
  • তার দোয়ার প্রতিদান পরকালের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
  • দোয়ার মাধ্যমে তার অনুরূপ কোনো অমঙ্গলকে তার থেকে দূরে রাখা হয়। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১১১৩৩)

হাদিসে আছে, ‘একবার আনাস (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করে নিচের এ দোয়াটি পাঠ করল—

বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরজ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম।’

বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তুমিই তো সব প্রশংসার মালিক, তুমি ছাড়া কোনো উপাসক নেই। তুমি দয়াশীল। তুমিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। 

তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এ ব্যক্তি ‘ইসমে আজম’ পড়ে দোয়া করেছে, ইসমে আজম মহান আল্লাহর এমন নাম; যে নামে ডাকলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নামে তাঁর কাছে চাওয়া হলে তিনি সব চাওয়া পূরণ করেন।’ (আবু দাউদ)

লেখক: আলেম ও গবেষক

 

রিজিক সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:০৯ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:১০ এএম
রিজিক সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
কোরআনের ছবি। ছবি : ফ্রিপিক

পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে রিজিক সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। এখানে কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করা হলো—
 

  • ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব, কখনো ভয়ভীতি, কখনো অনাহার দিয়ে, কখনো তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। (তোমরা এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করবে) তুমি ধৈর্যশীলদের (জান্নাতের) সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫)
  • ‘পৃথিবীর প্রত্যেক জীবের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে (লওহে মাহফুজে) রয়েছে।’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৬)
  • ‘নিশ্চয় তোমার রব যাকে ইচ্ছা রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং যাকে ইচ্ছা  সীমিত করে দেন। আর অবশ্যই তিনি তার বান্দাদের সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত এবং প্রত্যক্ষদর্শী।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৩০)
  • ‘এমন কত জীবজন্তু আছে, যারা নিজেদের খাদ্য সঙ্গে বয়ে বেড়ায় না। আল্লাহই তাদেরকে রিজিক দান করেন এবং তোমাদেরকেও। তিনিই সব কথা শোনেন, সকল কিছু জানেন।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৬০)
  • ‘আল্লাহ নিজ বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে চান রিজিক দান করেন এবং তিনিই শক্তিমান, পরাক্রমশালী।’ (সুরা শুরা, আয়াত: ১৯)
  • ‘আকাশসমূহে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ২২)
  • ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তিনি, যিনি রিজিকদাতা এবং মহাশক্তিধর ও মহাপরাক্রমশালী।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ৫৮)
  • ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তাকে সংকট থেকে উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। এবং তাকে এমনভাবে রিজিক দান করেন, যা তার ধারণারও বাইরে।’ (সুরা তালাক, আয়াত: ২-৩)

লেখক: আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক

 

দ্রুত দোয়া কবুলের আমল

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
দ্রুত দোয়া কবুলের আমল
আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন হাজি। ছবি : আল-কাবা

আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। এর চেয়ে বড় সম্পর্ক মানুষের জীবনে আর নেই। আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দোয়া। দোয়া গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। দোয়া কবুলের জন্য কিছু আমল আছে। যথা—

হালাল উপার্জন
হালাল খাবার সংগ্রহ করা অন্যতম ইবাদত। খাবারের প্রভাব মানুষের আমল-ইবাদতে পড়ে। হালাল খাবার ইবাদতে আগ্রহ সৃষ্টি করে। হারাম খাবারের প্রভাবে মানুষের ইবাদতে অনাগ্রহতা তৈরি হয়। হালাল খাবার দোয়া কবুলের প্রধান শর্ত। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে জীবিকার রূপে যে উৎকৃষ্ট বস্তুসমূহ দিয়েছি, তা থেকে (যা ইচ্ছা) খাও এবং আল্লাহর শুকর আদায় করো। যদি তোমরা শুধু তারই ইবাদত করে থাক।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭২) 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দীর্ঘ সফরের ক্লান্তিতে যার মাথার চুল বিক্ষিপ্ত, অবিন্যস্ত ও পুরো শরীর ধুলোমলিন। সে আকাশের দিকে হাত প্রশস্ত করে বলে, হে আমার প্রভু, হে আমার প্রতিপালক, অথচ তার খাদ্য ও পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, তার জীবন-জীবিকাও হারাম। এমতাবস্থায় তার দোয়া কীভাবে কবুল হতে পারে?’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৯৮৯)

তাড়াহুড়া না করা
মানুষের দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। দোয়া করবার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৩৪০) 

আল্লাহর ওপর আস্থা নিয়ে দোয়া করা 
আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে দোয়া করতে; পূর্ণ আস্থা নিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ অবশ্যই সে দোয়া কবুল করেন। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে দোয়া করো। জেনে রেখো, আল্লাহ অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৭৯)

দোয়ার বেশ কিছু আদব আছে। সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। পবিত্রতা অর্জনের পর দোয়া করলে আল্লাহতায়ালা সেই দোয়া কবুল করবেন। বিনয়ের সঙ্গে দুই হাত তুলে দোয়া করতে হবে। মিনতিভরা কণ্ঠে আল্লাহকে ডাকতে হবে। 

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলুম মাদরাসা, মধুপুর

 

তওবা করার নিয়ম

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:২৫ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
তওবা করার নিয়ম
ইহরামের শুভ্র পোশাক পরে আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন হাজি। ছবি: হারামাইন

তওবা শব্দের অর্থ ফিরা, ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা ইত্যাদি। পরিভাষায় তওবা বলা হয়, শরিয়তবহির্ভূত নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে ইসলাম নির্দেশিত কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরে আসা এবং আল্লাহর বিধানের ওপর অটল-অবিচল থাকা। আল্লাহতায়ালা তওবা করার আদেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমারা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা নুর, আয়াত: ৩১)

আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো; খাঁটি তওবা।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে মানবজাতি, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭০৩৪)

শয়তান মানুষের আজন্ম শত্রু। সে সব সময় মানুষের পদস্খলন চায়। শয়তানের অভিনব প্রলোভনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় পা দিয়ে ফেলে অনেকেই। তাই বিশেষজ্ঞ আলেমরা বলেন, সবসময় তাওবা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২)

তওবা যেভাবে করতে হয় 
মহান আল্লাহর হক বা অধিকার সম্পর্কিত হলে তিনটি শর্ত বাস্তবায়ন করলেই তওবা হয়ে যাবে। শর্ত তিনটি হলো— 

  • পুরোপুরিভাবে পাপ ছেড়ে দিতে হবে।
  • পাপের জন্য অনুশোচনা করতে হবে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে।
  • ওই পাপ দ্বিতীয়বার না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে। এবং এর ওপর অটল ও অবিচল থাকতে হবে। 

মানুষের হক বা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলে আরও একটি শর্ত যুক্ত হবে, তা হলো সেই ব্যক্তি মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে অথবা তার পাওনা-প্রাপ্তি, হক ফিরিয়ে দিতে হবে। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই তওবা শুদ্ধ হবে। অন্যথায় তওবা বিশুদ্ধ হবে না। 

তওবা জান্নাতপ্রাপ্তি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও ভালোবাসা লাভের একটি বড় সুযোগ ও উপায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২)


লেখক: আলেম ও গবেষক

 

পেট ব্যথা কমানোর দোয়া

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
পেট ব্যথা কমানোর দোয়া
পেট ব্যথার যন্ত্রণায় পেটে হাত দিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ইন্টারনেট

নানা কারণে অনেক সময় পেট ব্যথা হয়। পেট ব্যথা যে কারণেই হোক তা মানুষের জন্য মারাত্মক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কোনো কারণে যদি মানুষের পেট ব্যথা হয়, তবে তা থেকে মুক্ত থাকতে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশ বিভিন্ন দোয়া ও আমল করা যেতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রচুর দোয়া-আমল হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

পেট ব্যথার দোয়া
উসমান ইবনে আবুল আস (রা.) বলেন, ‘একবার তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে পেট ব্যথার কথা বলেন। উসমান (রা.) বলেন, ব্যথায় আমাকে অস্থির করে তুলেছে। নবিজি (সা.) বলেন, তুমি ব্যথার স্থানে সাতবার ডান হাত বুলিয়ে দাও এবং বলো, 


أعوذُ باللهِ و قُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ و أُحاذِرُ

বাংলা উচ্চারণ: আউজু বিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।

বাংলা অর্থ: আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ করছি, তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।

উসমান (রা.) বলেন, আমি এমন করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহ আমার কষ্ট দূর করে দেন। এরপর থেকে আমি আমার পরিবার-পরিজন ও অন্যদেরকে এমন করার নির্দেশ দিই। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫১)

লেখক : আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক