ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

সাঈদ আনোয়ারের কাব্যগাথা ভেন্যুতে পাকিস্তানের শোক

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম
সাঈদ আনোয়ারের কাব্যগাথা ভেন্যুতে পাকিস্তানের শোক
সাঈদ আনোয়ার

চেন্নাইয়ের চিপকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেই সামনে চলে আসে সাঈদ আনোয়ার ও পাকিস্তানের নাম। সাঈদ আনোয়ারের সেই ১৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের কথা। ১৯৯৭ সালের ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের সেই ম্যাচ ক্রিকেটপ্রেমীরা ভুলে যাবে, এমনটা হওয়ার নয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ভক্তদের তো মোটেই নয়। একে তো ঐতিহাসিক এক ইনিংস, তার ওপর আবার প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। ম্যাচে পাকিস্তান জয়ও পেয়েছিল ৩৫ রানে। 
ক্রিকেট হরহামেশা আইন বদল হয়। এসব আইন অধিকাংশই ব্যাটারদের পক্ষে যায়। যে কারণে এখনকার ক্রিকেট ২০০ রান করা ব্যাটারের অভাব নেই। শচীন টেন্ডুলকারের হাত ধরে সূচনা হয় এই ক্লাবের। যার সংখ্যা এখন ১০। কিন্তু সাঈদ আনোয়াররা যখন খেলতেন, তখন দ্বিশত রান করার কথা কেউ ভাবতেনই না। সে সময় তার ব্যাট থেকে এসেছিল এই ১৯৪ রানের ইনিংস।

এই জয় আফগানদের জন্য বিশেষ কিছু। কারণ এটি ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে  প্রথম জয়। আগের সাত ম্যাচেই ছিল হার। চেন্নাইয়ের যে স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের শোকগাথা রচিত হয়েছে, সেই স্টেডিয়ামেই শুধু সাঈদ আনোয়ারের সুখগাথা নয়, দল হিসেবেও রয়েছে সাফল্য। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পাকিস্তান দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই পেয়েছিল জয়। এই দুটি ম্যাচই ছিল আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। 

পূর্বসূরিদের জন্য আশীর্বাদের চেন্নাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ে রাতারাতি অভিশপ্ত এক ভেন্যুতে পরিণত হয়েছে বাবর আজমদের কাছে। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য এই পরাজয় কেমন? অপ্রত্যাশিত এই পরাজয়ে পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে বাবর আজমের কাঁপা কাঁপা গলার স্বর প্রমাণ করেছে কতটা ভেঙে পড়েছেন তিনি। 

পাকিস্তানের এমন হারে খোদ ওয়াসিম আকরামই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই পরাজয় লজ্জাজনক আর খেলোয়াড়দের দেখে মনে হচ্ছে প্রতিদিন খাসির মাংস গরগর করে গিলছে।’

ক্ষুব্ধ না হয়ে তো উপায় নেই। সুখস্মৃতির চেন্নাই ভেন্যুতে এই পরাজয় পাকিস্তান সমর্থকরা মেনে নিতে পারছেন না। ১৯৯৭ সালের সেই ম্যাচে সাঈদ আনোয়ার একাই খেলেছিলেন ১৪৬ বলে ১৯৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ২৬ বছর আগের ১৩২ স্ট্রাইকরেটের সেই ইনিংসে ছিল পুরোদস্তু আধুনিক ক্রিকেটের ছোঁয়া। সবার চোখ কপাল স্পর্শ করতে বাধ্য হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট উত্থানের ৭ বছর আগে সাঈদ আনোয়ারের সেই বিধ্বংসী ইনিংসে। 
ভারতীয় বোলারদের নাস্তানাবুদ করা আনোয়ারের ইনিংসে সেদিন ৫ ছয়ের পাশাপাশি ছিল ২২টি চারের মার। ৩২৭ রানের বিশাল সংগ্রহে পাকিস্তান জয়লাভ করে ৩৫ রানে।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআইতে শচীন প্রথম ২০০ রান করে প্রথমবারের মতো টপকে যান সাঈদ আনোয়ার ও চার্লস কভেন্ট্রিকে। এর আগে এ দুজনের নামের পাশেই ছিল ওডিআইতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের রেকর্ড। চার্লস কভেন্ট্রি ২০০৯ সালে এ রেকর্ডে ভাগ বসানোর আগে ১০ বছর এই রেকর্ডের একচ্ছত্র মালিক ছিলেন সাঈদ আনোয়ার। 

বছর দশেক আগে অচলায়তন ভেঙে ভারত-পাকিস্তান সবশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ওডিআইটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এখানে। সে ম্যাচে নাসির জামশেদের ১০১ রানের ইনিংসে তখনকার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। আফগান ম্যাচের আগে চেন্নাইতে খেলা শেষ দুই ম্যাচেই জয়ের হার শতভাগই ছিল পাকিস্তানের। 

এই চেন্নাইতে দুই জয়ের সুখস্মৃতির পর আকস্মিক এই ধাক্কা। আবার এই স্মৃতি তারা ভুলে যেতে পারবে যদি একই ভেন্যুতে ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের দেখা পায়।

মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি
ছবি- সংগ্রহীত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন মুশতাক আহমেদ। স্বল্প সময়ে তার হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আজ দুপুর তিনটায় বিসিবির বোর্ড সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্বকাপসহ দুই মাস বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন মুশতাক আহমেদ। তার অধীনে নিজেকে আরও বেশি শানিয়ে তুলেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার কাজে খুশি হয়ে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী বিসিবি।

বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
ছবি: সংগৃহীত

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের অবস্থান পাশাপাশি। তবে মাঠের খেলায় সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। তার প্রমাণ পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানদের। মাঠের প্রভাব অবশ্য বোঝা যায়নি ফল দেখে। কারণ, গোল পেতে ফরাসিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে দেন জ্যান ভার্টোনেন।

ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে বেলজিয়ামের ওপর ছড়ি ঘোরায় ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরাসি স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ডেডলক ভাঙেন কোলো মুয়ানি। বেলজিয়ামের জাল উদ্দেশ করে নেওয়া তার শট ভার্টোনেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ফরাসিদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়।

 

আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমটাই আইপিএলে দিনেশ কার্তিকের শেষ ছিল। এরপর ধারাভাষ্যকের ভূমিকায় দেখা যায় সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হলেন তিনি।

কোচ হওয়ার খবরে ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার। পেশা হিসেবে আমার কাছে কোচিং খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে আমি সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করি খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা দলের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। এই দলের ব্যাটিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে আমার তর সইছে না।’

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে তার অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০০৬ সালে। খেলোয়াড়ি জীবন চলমান অবস্থাতেই তিনি ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ শুরু করেন। ২০২১ সালে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে। একই ভূমিকায় ছিলেন দ্য হান্ড্রেডেও।

জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। 

বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির শিরোপা খরা কাটিয়েছে ভারত। এই জয়ে ভারত ক্রিকেট দলকে পুরস্কৃত করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। যে পুরস্কার আইসিসি হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের চেয়েও বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্টজুড়ে এই দলটি ব্যতিক্রমী প্রতিভা, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আইসিসি থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি পাচ্ছে ভারত। ভার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪২ লাখ রুপি।

এছাড়া সুপার এইট পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জেতায় তারা আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪ ডলার পাচ্ছে। আইসিসি ও বিসিসিআই হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থসহ মোট দেড় কোটি রুপি পেয়েছে ভারত। আর রানার্সআপ হয়ে ১২ লাখ টাকা ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। 

কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব হারান বাবর আজম। কিন্তু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরেফিরে সেই বাবরের কাছেই পাকিস্তান আরেকবার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। তাতেও লাভ হয়নি, এবারও ভরাডুবি হয়েছে দলটির। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। এরপর থেকে আবারও শুরু হয়েছে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা। আরেকবার শঙ্কায় তার নেতৃত্ব।

পাকিস্তান ক্রিকেটে তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তাকে খেলতে হবে সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ভ্যানকুবার নাইটসের হয়ে খেলবেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানে রিজওয়ানের নেতৃত্বে খেলতে হবে বাবরকে।

রিজওয়ানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ফ্র্যাঞ্চাইজটি জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল টি-২০ এর চতুর্থ সিজনের জন্য ভ্যানকুভার নাইটস অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম ঘোষণা করছে। তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা আর দক্ষ উইকেটকিপিং দিয়ে তিনি আমাদের জয়ের পথে নিয়ে যেতে তৈরি। তৈরি হও নাইটসরা!’

দলটিতে সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের অন্য দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলীকে।