![বুয়েটে ৬ শিক্ষার্থীর জীবন হুমকির মুখে, প্রতিকারের আবেদন](uploads/2024/04/03/1712162679.buyet.jpg)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি চাওয়ায় এবং জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কথা বলাতে জীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রলীগের সমর্থনকারী ছয় শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন তারা। গতকাল বুধবার বুয়েটের ড. এম এ রশিদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওই ছয় শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম বলেন, ‘বাঁশের কেল্লা’, ‘বুয়েটের সচেতন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ’ নামে গ্রুপে সরাসরি বলা হচ্ছে, তাদের এজেন্ডা এখানে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। সেই গ্রুপগুলোতে যখন আমাদের ছবি যাচ্ছে, তখন তো বিষয়টি অবশ্যই ভীতিকর। ব্যক্তিগত ও পাবলিকলি হুমকি দেওয়া হচ্ছে, পরিবারের কাছে ফোন যাচ্ছে এবং বলা হচ্ছে ‘আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন, পরের দিন কিন্তু পাবেন না।’
কেন এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আশিক বলেন, ‘আমরা হিজবুত ও শিবিরের কথা বলেছি এবং হিজবুত-শিবিরের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছি। তারা আমাদের বেশ আগে থেকেই হয়রানি করছে।’ হুমকিদাতাদের পরিচয় প্রসঙ্গে আশিক আলম বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রশাসনের কাছে নাম দিয়েছি, তাই এ বিষয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তবে প্রশাসনের তদন্তের পর হয়তো আমরা নামগুলো বলতে পারব।’
এর আগে বুয়েটে দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতে একই প্যাটার্নে হুমকি এবং বুলিংয়ের পর হত্যার শিকার হয়েছে এমনটা উল্লেখ করে আশিক বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আরিফ রায়হান দ্বীপের হত্যাকাণ্ডের আগে কিন্তু তাকে নানাভাবে বুলিং করা হয়। এরপরও তিনি দমে না গেলে, তাকে বুয়েট ক্যাম্পাসেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তার আগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদকেও একইভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে বুলিং করা হয়, না দমলে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। সেই একই বিষয় আমাদের সঙ্গে হচ্ছে। বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ গ্রুপ যেগুলো টেলিগ্রামে পরিচালিত হয়, সেগুলোতে আমাদের ছবি পাঠিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে, যার প্রমাণের স্ক্রিনশট উপাচার্যের কাছে দিয়েছি।’
শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই কিন্তু তাদের ছয়টি দাবি ছিল সেগুলোর মধ্যে হিজবুত-শিবির-ছাত্রদলের নাম ছিল না। সেখানে ইমতিয়াজ রাব্বিসহ আরও যারা ওই দিন উপস্থিত ছিলেন, তাদের নাম উল্লেখ করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে কেন তারা হিজবুত-শিবির প্রসঙ্গে কথা বলছে, এটি কিন্তু ভাবার বিষয়!’
সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ ও ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীলসহ আরও একজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।