ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

বুয়েটে হিযবুতের ইমেইল, নিরাপত্তা চান শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬ এএম
আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭ এএম
বুয়েটে হিযবুতের ইমেইল, নিরাপত্তা চান শিক্ষার্থীরা
ছবি : সংগৃহীত

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পক্ষ থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ইমেইলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদিও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না হিযবুত তাহরীরের পক্ষ থেকে এই মেইল পাঠানো হয়েছে কি না। এ ঘটনায় বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা চেয়ে আইনিব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ পেলে বুয়েটের সুনাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে বলে বিবৃতি দিয়েছে বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাত ১২টায় বুয়েটের সব বর্ষের বহু সাধারণ শিক্ষার্থীর ইনস্টিটিউশনাল ইমেইলে হিযবুত তাহরীর নামক নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন থেকে একটি পিডিএফ প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরকারীদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে।

শিক্ষার্থীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘৫ এপ্রিল রাত ১২টায় পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির শিরোনাম ছিল ‘ছাত্রলীগের আগ্রাসন থেকে আমাদের মেধাবী সন্তানদের কে নিরাপত্তা দেবে?’ এবং তারা সাধারণ ছাত্রদের এই নিষিদ্ধ সংগঠনের দিকে আহ্বান করে। আজকে এবং এর আগেও পৃথক ইমেইল ব্যবহার করে এ জাতীয় পিডিএফ পাঠানো হয়েছে।’

এর আগেও নিষিদ্ধ ও জঙ্গি সংগঠনের নামে ইনস্টিটিউশনাল ইমেইলে মেইল পেয়েছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কৌশলে নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে আমরা বিভিন্ন সময় উপাচার্য এবং ছাত্রকল্যাণ পরিষদ বরাবর অভিযোগ করি। কে বা কারা গোপনে এরূপ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত চলমান বলে আমাদের জানানো হয়। নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, আমরা যেন উপাচার্য স্যার, এডিএসডব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক) স্যার এবং আইআইসিটি (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি) বরাবর অনলাইনে অভিযোগ দাখিল করি।’

শিক্ষার্থীরা জানায়, এভাবে গণহারে মেইল আসার পর আমরা সবাই অনতিবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাই। পাশাপাশি আমাদের মধ্যে অনেকে এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে জিডি করছে। তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘নিষিদ্ধ মৌলবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের কোনো স্থান এই ক্যাম্পাসে হবে না এবং বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থেকে প্রতিহত করার চেষ্টা করবে।’

রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ বুয়েটের বৈশ্বিক খ্যাতি বাড়াবে: বুয়েট অ্যালামনাই

অপরাজনীতিমুক্ত অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকায় ২০২১ সাল থেকে বিষয়ভিত্তিক র‌্যাংকিং, অ্যাকাডেমিক সূচক এবং সাইটেশন স্কোর বাড়ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। যদি রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে তাহলে বুয়েট তার বৈশ্বিক খ্যাতি আরও বাড়াতে এবং বিশ্বের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। 

শুক্রবার (৫ মার্চ) বুয়েট অ্যালামনাই সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং মহাসচিব প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। গত ৩ এপ্রিল বুয়েট অ্যালামনাই বোর্ড অব ট্রাস্টি, বুয়েট আবাসিক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অ্যালামনাইদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার সিদ্ধান্তগুলো ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-এর সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিষয়ে বুয়েট অ্যালামনাই-এর বক্তব্য’ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, বুয়েট অ্যালামনাই মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পূর্ণ দায়িত্ব উপাচার্য ও সিন্ডিকেটের। কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি অনভিপ্রেত। এই সভা সুষ্ঠু রাজনীতির পক্ষে মত প্রকাশ করছে। তবে বর্তমানে ছাত্ররাজনীতির নামে যা চলমান, তা অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ বা নামান্তর। বিগত পাঁচ বছরে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম অবিঘ্নিত ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গবেষণার ক্ষেত্রে সম্মানজনক অর্জন ও স্বীকৃতির ক্রমোন্নতি এই ধারাবাহিক সাফল্যের সাক্ষ্য দেয়। এই পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়া কারোরই কাম্য হতে পারে না। 

বুয়েট জঙ্গিবাদ লালনের ক্ষেত্র নয় উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জঙ্গিবাদের ন্যূনতম আভাস বা সম্ভাবনা দেখা গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চয়ই কঠোর হস্তে তা দমন করবে। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ ছাত্ররা যে নিরাপত্তাহীনতার কথা বারংবার প্রকাশ করছে, সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুয়েট অ্যালামনাই বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছে।

বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা। গতকাল শুক্রবার সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েটে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছেন। 

বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালুর যৌক্তিকতা দেখিয়ে তারা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের জন্য ক্ষমতাসীন দল ও সংগঠন যে উদ্যোগ নিচ্ছে সেটা ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার মাধ্যমে ঠেকানো যাবে না। তথাকথিত রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসে প্রশাসনের একতরফা কর্তৃত্ব ছাত্র অধিকারকে মারাত্মকভাবে সংকুচিত করে। লুটপাট ও দুর্নীতি অনিয়ন্ত্রিত হয়।’ 

বুয়েটের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘অপরাজনীতিকে সঠিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে মোকাবিলা না করে রাজনীতির ওপরই পুরো দায় চাপিয়ে দিলে, তাতে অপরাজনীতির লাভই হয়।’

ছাত্রলীগ বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ শক্তি রাজত্ব করছে বলে যে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করছে, তা ছাত্রলীগের ‘দখলদারিত্বের রাজনীতির একটি কৌশল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা বলেন, ‘এই ছাত্রলীগ যখন প্রতিক্রিয়াশীল, অন্ধকারের শক্তিকে রুখে দেয়ার কথা বলে- এটাকে রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।’ 

রাবিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম
রাবিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে বর্তমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা কোটা পুনর্বহাল বাতিল, সব কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা এবং কোটা সুবিধা ভোগকারীদের জীবনে যেকোনো ক্ষেত্রে কেবল একবার কোটার সুবিধা ভোগ করারসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘কোটা থাকা কোনো দেশের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। কিন্তু আমাদের দেশটা যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছেন সাংবিধানিকভাবেই তাদেরকে সেটার প্রতিদান দেওয়া হয়েছে এবং সেটার ফল তাদের বর্তমান প্রজন্মও এখন অবধি ভোগ করছে। কিন্তু সেই প্রতিদানের পরিমাণই বা কতটুকু হওয়া দরকার ছিল। তারা সংখ্যায় দেশের মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশেরও কম এবং তাদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৬ শতাংশ। যেটা একেবারেই অযৌক্তিক। রেলওয়েতে তাদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২ শতাংশ। যেটা বলা যায়, সম্পূর্ণ কোটার দখলেই। আমরা কোটা বাতিল চাই না, কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই। আমাদের দাবি, এই কোটা শতাংশের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করা হোক। সেইসঙ্গে কোটা সুবিধা ভোগকারীদের জীবনে যেকোনো ক্ষেত্রে একবার কোটার সুবিধা নিতে পারবেন, তা করা হোক।’ 

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরীরাও এই কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তারপর সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আবারও সেটা প্রবর্তন করা হলো। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সাম্য, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের দেশের কোটা পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী কোটা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পরবর্তীতে আবার এই কোটা ব্যবহার করছে। তারা এক জীবদ্দশায় কয়েকবার ব্যবহার করে। এই পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় একবারই কোটা ব্যবহার করতে পারবে এমন নিয়ম করা হোক।’

সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই কৃষক-শ্রমিকের সন্তান। তবে এ ছাড়া বাকি যারা আসেন তারা সবাই প্রায় প্রতিষ্ঠিত পরিবার থেকেই আসেন। দেখা যায়, কোটার সুবিধাও কিন্তু তারা পেয়ে থাকেন। একজন কৃষক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে তার সন্তানকে পড়াশোনা করান কিন্তু তারা কোটা সুবিধা পান না। অন্যদিকে যাদের বাবা-মা সরকারি চাকরি করেন, প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান তারা ঠিকই কোটার সুবিধা লুফে নিচ্ছেন। কোটা থাকলে তো কৃষকের সন্তানের জন্য থাকা দরকার ছিল, মজুর শ্রমিকের সন্তানদের জন্যও থাকা দরকার ছিল। কিন্তু সেটা না হয়ে যারা সুবিধা পাচ্ছেন, তারা আরও বেশি পাচ্ছেন। আর যারা পাচ্ছেন না, তারা মোটেই পাচ্ছেন না।’

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ মহিবের সঞ্চালনায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে অংশ নেন।

সুমন/পপি/অমিয়/

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা
ছবি: খবরের কাগজ

নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ফলে বন্ধ থাকছে একাডেমিক কার্যক্রম।

রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা।

এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ ও জাতির প্রয়োজনে সবাইকে এক হতে হবে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আহ্বান জানাব, তারা যেন দল-মত নির্বিশেষে এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের অব্যাহত থাকবে।’

দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়ে সংগঠনটির মহাসচিব এবং ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশের ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটির সঙ্গে আজকেও যোগাযোগ হয়েছে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, হাজী দানেশসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। একযোগে তারাও এই কর্মসূচি পালন করবে। এটি আমাদের আত্মমর্যাদার লড়াই। আমরা বিভিন্নভাবে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি বিষয়টি সুরাহা করার জন্য কিন্তু আমরা আশানুরূপ সাড়া পাইনি।’

এদিকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাবির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঘোষিত এ সর্বাত্মক আন্দোলনে আপনারা সবাই আমাদের সংগ্রামের সারথি। আপনাদের বিপুল সমর্থন ও ম্যানডেট নিয়ে শিক্ষক সমিতি এ সর্বাত্মক আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন।

বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা ৯টি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে; অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে; সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন। একাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না; অনুষদের ডিনরা ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কর্যক্রম বন্ধ রাখবেন। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি নেওয়া যাবে না। কোনো সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালকরা ইন্সস্টিটিউটের অফিস, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন। সান্ধ্যকালীন, শুক্রবার ও শনিবারের ক্লাস বন্ধ থাকবে; বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকরা কোনো সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকবেন; বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা অফিস বন্ধ রাখবেন; প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ রাখবেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ১ জুলাই তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।

আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

জবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ১ জুলাই থেকে

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
জবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ১ জুলাই থেকে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে সোমবার (১ জুলাই) থেকে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি। 

রবিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান এ তথ্য জানান।
 
মাশরিক হাসান বলেন, ‘আমরা আগেই নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি আজ পর্যন্ত না মানা হলে আগামীকাল (সোমবার) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব আমরা। আগামীকাল থেকে সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। কোনো কাজ কেও করবে না। বিভাগগুলোকেও আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাসও বন্ধ থাকবে। সব পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল পরীক্ষা কিছু অনুষ্ঠিত হবে না। কোনো দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কাজ করবেন না।’

মুজাহিদ/পপি/অমিয়/

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে স্কলারশিপ

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে স্কলারশিপ

ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ যুক্তরাজ্যের সেরা ১০টি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। টাইমস হায়ার এডুকেশন ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি রয়েছে গত ৫০ বছরের মধ্যে স্থাপিত বিশ্বের সেরা ১৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও। রিসার্চ এক্সেলেন্স ফ্রেমওয়ার্ক (আরইএফ) ২০২১ অনুসারে, ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ সেরা তিনটি গবেষণা শক্তির মধ্যেও একটি।

দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ২ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশের। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে শতকরা ৯৪ ভাগ হয় চাকরিজীবনে প্রবেশ করেছেন, নয়তো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চালু আছে ভাইস চ্যান্সেলর’স গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ। যে বৃত্তির অধীনে একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিশ্চিতভাবে আড়াই হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবেন। আরও আছে চ্যান্সেলর’স গ্লোবাল একাডেমিক মেরিট স্কলারশিপ। যার অধীনে একজন শিক্ষার্থী পাবেন ৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। তাছাড়া নির্দিষ্ট কোর্সগুলোয় রয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ বৃত্তি পাওয়ার সুবিধা।

ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্টগ্র্যাজুয়েট এবং পিএইচডি লেভেলে যেসব কোর্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায়, সেগুলোর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিন্যান্স, আর্কিটেকচার, প্রোপার্টি অ্যান্ড সার্ভেয়িং, বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড মেডিকেল বায়োটেকনোলজি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস, ক্রিমিনোলজি, ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড ডেটা এনালিটিক্স, ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড গ্যাস ইঞ্জিনিয়ারিং), অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, হেলথ সায়েন্সেস, ইনোভেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স অ্যান্ড পলিটিক্স, লজিস্টিক্স অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং (ডিজিটাল মার্কেটিং, মার্কেটিং অ্যানালিটিক্স), মিডিয়া স্টাডিজ, ফার্মেসি অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস, স্পোর্টস সায়েন্সেস। বৃত্তিগুলো এবং ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথে ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত জানা যাবে www.port.ac.uk/study/international-students/your-country/bangladesh এই ওয়েবসাইট থেকে।

 কলি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১ জুলাই

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১ জুলাই

১০৪তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হবে আগামীকাল (১ জুলাই)। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এদিন সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। এদিন নির্দিষ্ট সময় ক্লাস ও সড়কে চলাচল বন্ধ থাকবে।

কর্মসূচি অনুযায়ী, এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে গমন করবেন।

সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্বরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন ওড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা’ নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত ‘স্মরণিকা’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করবেন অতিথিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে।

দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কে আলোকসজ্জা করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে তোরণ নির্মাণ এবং রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ডে সাজসজ্জা করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এদিন ক্লাসগুলো সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

কলি