ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

জবিতে চারদিন অফলাইনে ক্লাস, মঙ্গলবার অনলাইনে

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
জবিতে চারদিন অফলাইনে ক্লাস, মঙ্গলবার অনলাইনে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : খবরের কাগজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন আগামী রবিবার (৫ মে) থেকে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রতি মঙ্গলবার অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জবি প্রশাসন।

মঙ্গলবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম।

এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষার সময়সূচী পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে ৩০/০৪/২০২৪ খ্রি. মঙ্গলবার বেলা ১১:৩০ টায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম, পিএইচডি-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ০৫/০৫/২০২৪ খ্রি. রবিবার হতে সকাল ৮:০০ টা থেকে বেলা ২:০০ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে, তবে ০৭/০৫/২০২৪ খ্রি. হতে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস চলবে। তীব্র তাপদাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।

রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম বলেন, আগামী রবিবার থেকে সপ্তাহে চারদিন অফলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। শুধুমাত্র মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস হবে।

শুধু মঙ্গলবার কেন অনলাইন ক্লাস? এ প্রশ্নের জবাবে জবি উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, এর আগেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস হতো, সেই প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত।

দেশে চলমান দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে গত ২২ এপ্রিল থেকে অনলাইন ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জবি প্রশাসন।

মুজাহিদ/পপি/

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ: সদরঘাটগামী রাস্তা অবরোধ করে জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ: সদরঘাটগামী রাস্তা অবরোধ করে জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)  দুপুর ১২টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়ে সদরঘাটগামী রাস্তাটি অবরোধ করে। 

এরপর মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজার মোড়ে আসে এবং সড়ক অবরোধ করে। সড়ক অবরোধের কারণে যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, গুলিস্থানগামী যানবাহন  চলাচল করতে পারেনি। 

রাস্তা অবরোধের কারণে সদরঘাটের দিকে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এসময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, আমাদের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত এভাবেই আমাদের আন্দোলন চলবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা পুনরায় পেশ করেন-

১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। 

২। ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।  

 ৪। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল বাতিল, কোটা সংস্কারের দাবিসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

আন্দোলনের প্রথম থেকেই বৃষ্টি শুরু হলেও তা উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে জমা হতে থাকেন।

বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন। 

এ সময় বৃষ্টিতে ভিজেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান। 

পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। 

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে কাজলা গেট হয়ে প্যারিস রোডে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ চলার সময় শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। 

দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, তবে কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবেন, এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাক; প্রতি জনশুমারির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। 

এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টায় একই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।  

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা-সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। 

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা পদ্ধতির কবর দে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা-বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটা পদ্ধতির ঠাঁই নাই’, ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বৈষম্যর বিরুদ্ধে, লড়াই করো একসাথে’, ‘ঝড় বৃষ্টি আধার রাতে, আমরা আছি রাজপথে’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ ছাড়া বিক্ষোভ চলার সময় বিখ্যাত কবিদের বিভিন্ন প্রতিবাদী কবিতা ও সংগ্রামী গান পরিবেশন করা হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখপাত্র ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। আমরা হাইকোর্টের বিচারকদের মতো জ্ঞান রাখি না। তবে আমরা এটা জানি, এক শতাংশের কম জনসংখ্যার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা অন্যায্য। এটা বুঝতে পৃথিবীর কোনো আইন জানা লাগে না। আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট, আমাদের আইন বোঝার দরকার নেই। দাবি কিভাবে আদায় করতে হয় তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।’

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। 

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিবেকের তাড়নায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপস্থিত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এই রাষ্ট্রের জন্মের পেছনে সমতাভিত্তিক সমাজব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। রাষ্ট্রের চোখে সব নাগরিক সমান। এ ব্যাপারে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করলে সেটা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হবে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। আজকে জাতিকে মেধাশূণ্য করে এগিয়ে নেওয়ার যে চক্রান্ত করা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে দেওয়া যাবে না।’

হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনিকেত বর্ধন আকাশ বলেন, ‘সবধরনের চাকরি থেকে কোটা প্রথার অবসান করা হোক। একজন মেধাবী শিক্ষার্থী কঠোর পরিশ্রম করেও চাকরি পাচ্ছেন না। অন্যদিকে একজন কোটাধারী অল্প নম্বর পেয়েও চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পাচ্ছেন। যা সম্পূর্ণভাবে বৈষম্য। এ বৈষম্যের অবসান হোক।’

আন্দোলন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের কোটা প্রথায় উপযোগী জনসংখ্যার সংখ্যা ১ শতাংশের কম কিন্তু তাদের জন্য কোটা ৫৬ শতাংশ। এমনিতেই দেশের চাকরির বাজার প্রতিযোগিতাপূর্ণ। সেখানে কোটায় অধিকাংশ সিট চলে যাওয়া আমাদের প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে দেয়। আমাদের দাবি, ২০১৮ সালে কোটা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত এসেছিল তা পুনর্বহাল থাকুক।’

গত ৫ জুন সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। 

এতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। 

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন।

সুমন/পপি/

শিশুদের বইমুখী করতে ‘লেটস রিড ইন দ্য পার্ক’ উদ্ভাবন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
শিশুদের বইমুখী করতে ‘লেটস রিড ইন দ্য পার্ক’ উদ্ভাবন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শিশুদের জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়ানো এবং মোবাইল আসক্তি থেকে রক্ষায় ‘লেটস রিড ইন দ্য পার্ক’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

শনিবার (২৯ জুন) গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ঘাসফুল ও লাইট অব হোপ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে অংশ নেন অভিভাবকসহ তিন থেকে ১২ বছর বয়সী ৫০০ জনেরও বেশি শিশু এবং পাঁচটি স্কুল।

অনুষ্ঠানে গুফি পাপেট শো, গল্পের বই পড়ার সেশন, বিভিন্ন খেলা, চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত ও মাটির কারুকাজের মতো সৃজনশীল কাজসহ নানা ইন্টারেকটিভ এবং শিক্ষামূলক কাজের মাধ্যমে বইয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। 

অনুষ্ঠানের ‘কিডস টাইম ক্রিয়েটিভ জোন’ এবং ‘ক্লে স্টেশন-মাড ক্রাফ্টিং’ জোন নিয়ে শিশুদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। 

এতে শিশুরা শিল্প ও কারুকার্যের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয়। 

এ ছাড়া ডুডল বোর্ড, ফটো বুথ এবং ছবি আঁকার সেশনেও শিশু ও অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।

এতে ইনোভেশন কিট, চকপেনসিল, পাজল ফান, গুফি, ক্লেস্টেশন এবং কিডস টাইমে, পেনি অ্যান্ড পিটার শিশুদের জ্ঞান, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা সম্পর্কিত নানা শিক্ষামূলক উপকরণ প্রদর্শন করা হয়।   

বিকেলে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে উন্নয়ন সহযোগী, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং দেশীয় আন্তর্জাতিক এনজিও সংগঠনগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতায় ‘রিডিং চ্যাম্পিয়ন এলায়েন্স’ কর্মসূচির মতো কিভাবে বই পড়াকে জনপ্রিয় করা ও বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এতে সেভ দ্য চিলড্রেন, সাজেদা ফাউন্ডেশন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, আগামী ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, ঝেপআইগো, হ্যালোটাস্কসহ আরও বেশকিছু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। 

লাইট অব হোপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এবং ২০২৪ সালের জাতীয় এসএমই পুরস্কারপ্রাপ্ত আরিফ মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া গত কয়েক বছরে লাইট অব হোপের অধীনে রিডিং চ্যাম্পিয়ন অ্যালায়েন্স প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জেরোম সায়ের বলেন, ‘স্মার্টফোনে আসক্ত শিশুদের বইমুখী ও সৃজনশীল কার্যক্রমে আগ্রহী করতে আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশনের লেটস রিডের আঞ্চলিক কর্মসূচী ব্যবস্থাপক জ্যাকো রোয়েশ শিশুদের পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার নানা উপকারিতা তুলে ধরেন। 

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

গিনেস বুকে নাম লেখালেন ঢাবি শিক্ষার্থী অংকন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
গিনেস বুকে নাম লেখালেন ঢাবি শিক্ষার্থী অংকন
সার্টিফিকেট হাতে গিনিস বুকে নাম লেখানো রাগীব শাহরিয়ার অংকন

ফুটবলকে শূন্যে ভাসিয়ে মিনিটে ২২০ বার পায়ের পাতা দিয়ে সর্বোচ্চবার স্পর্শ করে গিনেস বুকে নাম তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী রাগীব শাহরিয়ার অংকন। অংকন ঢাবির কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটিতে।

জানা যায়, আগের রেকর্ড ছিল ২১২ বার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি তার এ কৃতিত্বের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ‘দ্য মোস্ট ফুটবল (স্কোরার) টো ট্যাপস ইন ওয়ান মিনিট’ ক্যাটাগরি অর্থাৎ এক মিনিটে ফুটবলে সর্বোচ্চবার স্পর্শ করার রেকর্ডধারী হিসেবে নাম উঠেছে রাগীব শাহরিয়ার অংকনের। 

এক মিনিটে ২২০ বার ট্যাপ করে তিনি এ রেকর্ড অর্জন করেন। আগের রেকর্ড ছিল ২১২ বার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তিনি এই রেকর্ড গড়েন। গত ২ জুলাই অংকন অফিসিয়ালি তার এ অর্জনের সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে রেকর্ড গড়ার পর অংকন বলেন, ‘দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছি। এ রেকর্ড গড়তে পেরে আমি খুব আনন্দিত।’

অংকনের এমন অর্জনে বেশ আনন্দিত তার সহপাঠীরা। তার সহপাঠী রাইদ ইসলাম খান বলেন, ‘অংকন আমাদের গর্বিত করেছে, সে বিশ্ব রেকর্ড করায় আমরা আনন্দিত। তার জন্য সব সময় শুভ কামনা।’

কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ
ছবি : খবরের কাগজ

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের ২৩ দিনের আল্টিমেটাম শেষে আবারও আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল মঙ্গলবারের (২ জুলাই) মতো বুধবার (৩ জুলাই) আবারও একই দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিন দুপুর পৌনে ৩টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৎস্য ভবন হয়ে পৌনে ৪টার দিকে শাহবাগে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 

এ সময় পুলিশের অবস্থান থাকলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা উড়াতে থাকেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুন আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে গত সোমবার চার দফা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/