একজন প্রার্থীর দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইসাহাক আলীসহ চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
প্রত্যাহারের আদেশপ্রাপ্ত অপর তিন কর্মকর্তা হলেন সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব ও ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ ওই চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা বুবলি রিট আবেদনটি করেন। তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে।
রিটে বলা হয়, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর আসনটিতে উপনির্বাচন হয়। তখন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে নির্বাচন সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) একযোগে সব কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন। এ নিয়ে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রমাণিত। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অনেক কর্মকর্তা ও সাতটি কলেজের অনেক শিক্ষক নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারসহ লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান ও তার সমর্থকরা ট্রাক প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন এবং বলছেন, ‘স্থানীয় প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবরের মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোটের ফলাফল নৌকার পক্ষে নেবেন।’ কিন্তু এ আবেদনে নির্বাচন কমিশনের সাড়া না পাওয়ায় গত মঙ্গলবার রিট করেন ফারজানা রাব্বী বুবলি। শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এমএ/