ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি, ২ বখাটে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি, ২ বখাটে গ্রেপ্তার
ছবি : খবরের কাগজ

নোয়াখালীতে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করায় দুই বখাটেকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে নেয়াজপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আফনান হোসেন শুভ (২০) ও মো. রুহুল আমিন (৩৫)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিওসহ দুটি মোবাইল ফোন, চাঁদাবাজির নগদ ১০ হাজার টাকা এবং এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল জব্দ করা হয়। 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন আহমেদ আটকের বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগকারী পল্লী চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজীব গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ফার্মেসি থেকে ফেরার পথে প্রতিবেশী গৃহবধূর অসুস্থ ছেলের জন্য ওষুধ দিতে গেলে শুভ, রুহুল আমিন ও সোহেলসহ অজ্ঞাত তিন-চারজন তাকে ও গৃহবধূকে আটকে রেখে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ইতোমধ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে দফায় দফায় ৪ লাখ ১১ হাজার টাকা আদায় এবং তিন আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, বখাটেরা আরও চাঁদা দাবি করলে পল্লী চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজীব পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে।

ইকবাল হোসেন/জোবাইদা/অমিয়/

পাবনায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
পাবনায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৪
ছবি : খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের দাশুড়িয়া সুগার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটনা। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদীর পাকশি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঈশ্বরদী থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিল প্রাইভেটকারটি। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন‌। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পার্থ হাসান/সালমান/

দেশব্যাপী ষান্মাসিক পরীক্ষা শুরু, ব্যতিক্রম রাঙামাটি বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা!

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
দেশব্যাপী ষান্মাসিক পরীক্ষা শুরু, ব্যতিক্রম রাঙামাটি বায়তুশ শরফ মাদ্রাসা!
ছবি : খবরের কাগজ

সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে গতকাল ৩ জুলাই থেকে। মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সময়সূচি ও করণীয় নির্দেশনা ইতোমধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনা মানেনি রাঙামাটি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা।

এমনকি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি তালুকদার দুপুরে হলেও পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আসলে তাতেও কর্ণপাত করেননি প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল সামশুল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম দিন রুটিনটা একটু মিসিং হয়েছে। শনিবার থেকে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করব।’

তবে সরকারি নির্দেশনা না মানার প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি তালুকদার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান স্বাক্ষরিত গত ৩০ জুনের এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সময় নির্ধারিত’ ও ‘অতীব জরুরি’। এই চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও এসব অধিদপ্তরের শিক্ষা বিভাগসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পাঠানো হয়েছে। সেখানে নির্দেশনাপত্রটি বিভাগগুলোর আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত আর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনাকে পাশ কাটিয়ে যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু না করার বিষয়ে সামশুল আরেফিন বলেন, ‘আমাদের প্রথম দিন রুটিনটা একটু মিসিং হয়েছে। তবে ওইদিন কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত নয় আরবি পরীক্ষাগুলো নিয়েছি। আমাদের এবতেদায়ি (প্রাথমিক) শাখাও সংযুক্ত। রুটিন করতে সব একসঙ্গেই করেছি। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থী আছে।’

নিজের একক সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ায় কোনো সমস্যা তৈরি হবে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সবগুলো পরীক্ষা আমরা শনিবার থেকে একসঙ্গে শুরুর চিন্তা করছি। মাদ্রাসার চারটি বিষয় সরকার যে রুটিন দিছে ওখানে নেই। গতকালের আগ পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা ছিল যে, পরীক্ষার গ্যাপের মধ্যে ক্লাস হবে না। আমরা ভাবছিলাম ওই গ্যাপের মধ্যে পরীক্ষাটা নিয়ে নেব। কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ায় শিডিউল মেনেই পরীক্ষা নেব।’

প্রিন্সিপালের এমন সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ বলে মন্তব্য করেছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন। 

তিনি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তকে না মেনে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মনগড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কোনো আলোচনাও করেননি। কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধানের উদ্যোগ নিতে পারতাম। কিন্তু প্রিন্সিপাল একক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরীক্ষার মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি তালুকদার বলেন, ‘আমি তো গতকাল গিয়েছিলাম। পরীক্ষা হয়েছে। ঘটনা কী? পরীক্ষা হয়নি? তারা সময়মতো পরীক্ষা নেয়নি। তাই নির্দেশনা দিয়েছি, আপনারা এই ভুল করলেন কেন? আমাকে বলেছিল যে, পরে পরীক্ষা হবে। সম্ভবত ১২টা কী ১টায় একটা টাইম দিয়েছিল পরীক্ষা নেওয়ার।’

নির্দেশনা দেওয়ার পরও পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘ইচ্ছে করলেই তার (প্রিন্সিপাল) মতো পরীক্ষা নিতে পারবেন না। এটা আগে থেকেই শিডিউল করা আছে। টাইমলি নিতে হবে। যদি পরীক্ষা না নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জিয়াউর রহমান/সালমান/

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল গাইবান্ধায় ৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
গাইবান্ধায় ৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ
টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার চার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার থেকে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের স্কুলগুলো। জেলায় বন্যাকবলিত গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটার উপজেলার মোট ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত করা হচ্ছে।
 
গাইবান্ধা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ছুটি শেষে গতকাল বুধবার বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। চার উপজেলার চরাঞ্চলে কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। বিদ্যালয় খোলার পর বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী আসলেও অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আসতে পারেনি। টানা চার দিনের বৃষ্টি আর বন্যার পানি বেড়েই চলছে। জেলার ৭০টি বিদ্যালয় বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১৭টি, ফুলছড়িতে ২১টি, সাঘাটা ২১টি ও সুন্দরগঞ্জ ১১টি।
 
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়িতে কয়েকটি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ভরতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পানি হয়েছে। শ্রেণিকক্ষেও পানি। যাতায়াতের রাস্তার পানির নিচে পড়ে আছে। রাস্তাগুলোতে প্রায় ২ থেকে ৩ ফুট পানি রয়েছে। রাস্তা পানি নিচে থাকায় চলাচল করতে পারছে না লোকজন। ফুলছড়ি উপজেলার চর পেপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর একই অবস্থা। এসব এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম অভাব দেখা দিয়েছে।
 
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া তারাপুর, হরিপুর, সাঘাটা উপজেলার ফজলুপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের অনেক নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
 
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সূত্র জানায়, বন্যাকবলিত চারটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৮২০টি পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। জেলায় ১৮১ স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জি আর (প্রাকৃতিক দুযোর্গ) চারশ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
 
চর পেপুলিয়া গ্রামের আবদুল্লাহ (৪৫) বলেন, গতকাল থেকে নদীর পানি খুব বাড়ছে। রাতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। রান্না করতে পারছি না। খুবই কষ্টে আছি। বাড়ির পাশে স্কুলটিতে পানি ঢুকেছে। বন্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে পারছে না। 
 
গুপ্তমনি চরের জলিল মিয়া (৫০) বলেন, বন্যার পানি বেড়েই চলছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। বন্যার কারণে অনেক ভোগান্তির মধ্যে আছি। চালডাল সবই আছে,শুধু রান্না করতে পারছি না।  
 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, জেলার চার উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল থেকে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে ৭০টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৫টি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যালয়ে আগের মতো পাঠদান চালু করা হবে। 
 
গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। 
 
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বৃদ্ধি ও কমে। 
 
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার সম্ভাবনা নেই। তিনি মুঠোফোনে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।
 
রফিক খন্দকার/এমএ/

বান্দরবানে বেনজীরের জমির নিয়ন্ত্রণ নিল প্রশাসন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
বান্দরবানে বেনজীরের জমির নিয়ন্ত্রণ নিল প্রশাসন
ছবি : খবরের কাগজ

বান্দরবানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি  নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আদালতের নির্দেশে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের ২৫ একর জমির রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিন দুপুরে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও তার নেতৃত্বাধীন টিম সুয়ালক ইউনিয়নে ওই জমি পরিদর্শন করে। পরে আদালতের আদেশ ছাড়া এই সম্পত্তি বিক্রয়/হস্তান্তর/বিনিময় করা যাবে না বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাইনবোর্ড স্থাপন করে দেওয়া হয়। 

এ সময় জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আজ থেকে এই জমির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হককে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এই কমিটি এখন থেকে সার্বিক তদারকি করার পাশাপাশি সব আয়-ব্যয়ের হিসাব দুদকের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক এম এম শাহনেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এবার চা-বাগানের বাজারে চোরাই চিনি, ১৩০ বস্তাসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
এবার চা-বাগানের বাজারে চোরাই চিনি, ১৩০ বস্তাসহ গ্রেপ্তার ২
ছবি: খবরের কাগজ

ট্রাকটি চা-বাগানের দোকানের সামনে গিয়ে থেমেছিল। সেখানে ওঁৎ পেতে ছিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ডিবি পুলিশ দল। ট্রাকটি থামতেই তল্লাশি চালিয়ে ১৩০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে চোরাই চিনির দুই বাহক।  

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোরে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা চা-বাগানের বাজার থেকে এভাবেই জব্দ করা হয়েছে চোরাই চিনি। 

বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা হওয়ার পর এসএমপির মিডিয়া সেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘটনাটি জানিয়েছে। 

এসএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  উপ পুলিশ কমিশনারের (ডিবি) নির্দেশনায় ভোর চারটা ৫০ মিনিটে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম-১ নিয়মিত টহল ডিউটি ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা চা-বাগান বাজারের মা ডেন্টিং ওয়ার্কশপের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক সেখানে থামে। ট্রাকটি থামামাত্র ডিবি পুলিশ ঘিরে রাখে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে চোরাই চিনি পাওয়ায় দু'জন বাহককে আটক করা হয়। 

আটক দু'জন হলেন, আফজল হোসেন (২৪) ও মো. রুহুল আমিন (৩৩)। এরমধ্যে আফজলের বাড়ি সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামে। রুহুলের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরম সিদ্ধিপুর গ্রামে। বিভিন্ন রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তায় ১৩০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট  ৬ হাজার ৫০০ কেজি চিনি। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী চিনির মূল্য প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। 

অবৈধ মালামাল বহনের কাজে ব্যবহার করায় চিনির সঙ্গে ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে জানিয়েছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। আটক দু'জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

লাক্কাতুরা সিলেটের একটি পুরোনো চা-বাগান। ন্যাশনাল টি কোম্পানি পরিচালিত এই চা-বাগানটির অবস্থান সিলেট নগরমুখী বিমানবন্দর সড়কের পাশে। চা-বাগান ঘিরে সড়কের একপাশে একটি বাজার রয়েছে। লাক্কাতুরা চা-বাগান বাজার নামে পরিচিত হলেও চা-বাগান পরিচালনার বাইরে এটি পরিচালিত হয় বলে এ ঘটনায় লাক্কাতুরা চা-বাগান কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।