![বাদী-বিবাদীকে আটকে ঘুষ নিলেন দুই এসআই](uploads/2024/01/24/1706111003.Kompaniganj.jpg)
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় বাদী-বিবাদীকে আটকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই উপপরিদর্শক (এসআই) এম আশরাফুল ইসলাম ও মো. সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দুই কর্মকর্তা ভুক্তভোগীর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘুষের সেই টাকা ফেরত দিয়ে এসেছেন বলেও খবরের কাগজকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, চরপার্বতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিন বসতবাড়ি নিয়ে বিরোধে প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত উভয়পক্ষকে নিষেধাজ্ঞা দিলে গত ১৭ জানুয়ারি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফরিদ মিয়া সতর্কতার নোটিশ জারি করেন।
এর মধ্যে গত সোমবার এক পক্ষ ওই বসতবাড়িতে কাজ করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির উপক্রম হয়। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থল থেকে বিবাদী খোরশেদ আলমসহ উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এম আশরাফুল ইসলাম।
আটকরা হলেন, বাদী রুহুল আমিনের দুই ছেলে আবুল হাসেম (৪৪) ও আবুল কাশেম (৩৮) এবং বিবাদী খোরশেদ আলম (৫০) ও রিয়াদ হোসেন (২৭)। তাদের মঙ্গলবার সকালে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় আদালতে চালান দেওয়া হয়।
এদিকে থানা থেকে আটক আসামি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে খোরশেদ আলমের আত্মীয় নাইমুল হক ইভানের কাছ থেকে এসআই আশরাফ পাঁচ হাজার এবং এসআই সাজ্জাদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও আসামি ছেড়ে না দিয়ে চালান দেওয়ায় আপত্তি তোলেন খোরশেদ আলমের পরিবার।
নাইমুল হক ইভান খবরের কাগজকে বলেন, ‘খোরশেদ আলম ও রিয়াদকে ছেড়ে দিতে ওসির কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেন এসআই আশরাফ ও সাজ্জাদ। পরে আমাদের লোককে চালান দেওয়ায় উকিল দিয়ে আদালত থেকে তাদের জামিনে আনি। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে এসে ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে গেছেন দুই পুলিশ।’
এ বিষয়ে জানতে এসআই এম আশরাফুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি আসামি আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গ তুললে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অন্যদিকে এসআই সাজ্জাদ হোসেন দাবি করে বলেন, ‘টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। বিষয়টি কেউ প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে চলে যাব।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বাদী-বিবাদী পক্ষের চার আসামিকে আটক ও চালানের বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘আসামি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’