মাদারীপুরের কালকিনিতে নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে ভাইবোনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহত দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার লক্ষ্মীপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মধ্য লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত জব্বার আলী সরদারের ছেলে মিরাজ সরদার (৪০) ও তার বড়বোন আমিরন বেগম (৫৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্বাচনি সহিংসতা নয়। পূর্ব শত্রুতার জেরেই ঘটেছে এই হামলার ঘটনা। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহতদের স্বজনরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় নিজ জমিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মিরাজ সরদার ও তার বড়বোন আমিরন বেগম। মাঝপথে আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা প্রতিপক্ষ শাজাহান সরদার ও তার লোকজন ভাইবোনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারী পালিয়ে যায়। এ ঘটনার দোষীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
প্রথমে দুজনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভাইবোনকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আহতের বড়ভাই রেজাউল হক সরদার বলেন, ‘আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম। সংসদ নির্বাচনে নৌকা হেরে যায়। এরপর থেকে বিজয়ীদের লোকজন আমাদের ওপর হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। পূর্ব থেকে পরিকল্পনা মোতাবেক আমার ভাইবোনের ওপর শাজাহান ও তার লোকজন হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত শাজাহান সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। পলাতক থাকায় তার কোনো বক্তব্যও মেলেনি।
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আহত দুজনের শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
আহত মিরাজ ও তার বড় বোন আমিরন মাদারীপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পরাজিত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের সমর্থক। অপরদিকে অভিযুক্ত শাজাহান সরদার বিজয়ী ঈগল প্রতীকের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগমের কর্মী।
রফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতি/অমিয়/