![প্রেমের টানে শিবচরে এলো ইন্দোনেশীয় তরুণী, হলো জাঁকজমক বিয়ে](uploads/2024/02/24/1708749507.madaripur--shibchor-photo.jpg)
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এবার প্রেমের টানে চলে এলো ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে দুই বছর আগে এই তরুণীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ শামীম মাদবরের। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া, ভালোলাগা আরও গভীর হতে থাকে। এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে!
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে শামীম মাদবরের বাড়িতে জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।
শামীমের পারিবার জানায়, গত পাঁচ বছর আগে পরিবারের লোকজন নিয়ে একটু ভালো থাকার আশায় সিঙ্গাপুর যান শামীম। সেখান থেকে গত জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখে বাড়ি আসেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসে বিদেশি তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারকে খুলে বলেন। ভিনদেশি তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছা পরিবারের কাছে বলেন। প্রথমে শামীম মাদবরের পরিবার মেনে নিতে না চাইলেও তরুণীর সঙ্গে কথা বলে বিয়েতে মত দেন তারা। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীম মাদবরের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করে।
সালমা আক্তার নামে শামীম মাদবরের নিকটাত্মীয় বলেন, 'ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী হলেও কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশিয়া থাকে। শামীম সিঙ্গাপুর থাকেন প্রায় ছয় বছর ধরে। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারাও রাজি।'
এদিকে বিদেশি তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। দুপুরে প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। এলাকায় বিদেশি তরুণীকে দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই।
প্রতিবেশীরা বলেন, 'বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেয়েকে দেখতে লোকজন এসে ভিড় করে।'
শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, 'বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। এক সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।'
শামীম বলেন, 'ইফহা ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থায় প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। আমাদের কারও পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়।'
ইফহা বলেন, 'আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ, চরিত্রও ভালো। কে বেশি ভালোবাসে একে অপরকে? এ সময় ইফফা বলেন, আমি ওকে বেশি পছন্দ করি। আগামী মাসে আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।'
রফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/