মাগুরায় লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে চার চাকরিপ্রার্থী আটক হয়েছেন।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিলে প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা সমন্বয় করতে গেলে সামঞ্জস্যতা না পাওয়ায় তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের এসকে মনিরুজ্জামান, একই উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামের শরিফুল ইসলাম, নাগড়া গ্রামের সজিব হোসাইন এবং সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের মিরাজ হোসেন।
মাগুরা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজস্ব খাতের আওতায় ১১-১৭ গ্রেডভুক্ত মোট ৬টি পদের বিপরীতে ৭১ জন নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে রবিবার মাগুরা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আহ্বান জানানো হয়। সেখানে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে অভিযুক্ত চার প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষার খাতা সমন্বয় করতে গেলে সামঞ্জস্যতা না পাওয়ায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্তরা স্বাস্থ্য সহকারী পদের জন্য আবেদন করলেও শুক্রবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় তারা প্রক্সি পরীক্ষার্থী নিয়োগ করে। একেক জনের বিপরীতে দুই লাখ টাকা নিয়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। লিখিত পরীক্ষা শেষে শনিবার রাতে প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থী হিসেবে অভিযুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ হলে তারা রবিবারের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে আটক হয়।
তবে অভিযুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে কারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সেটি সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়নি। একাধিকবার মাগুরা সিভিল সার্জনের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল বলেন, ‘সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা ছিল আজ (রবিবার)। পরীক্ষায় অংশ নিতে আসাদের মধ্যে চারজনকে অনিয়মের অভিযোগে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
কাসেমুর শ্রাবণ/জোবাইদা/