![২১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার](uploads/2024/02/26/1708939353.Arrest_RAB_manikganj.jpg)
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনাম ব্যবহার করে কখনো দিনমজুরি, আবার কখনো করেছেন সবজি বিক্রি। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। দীর্ঘ ২১ বছর পর র্যাবের কাছে ধরা পড়লেন ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আবুল মিয়া ওরফে রাজিব।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ভূমদক্ষিণ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন।
গ্রেপ্তার আবুল মিয়া মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লাচর উলাইল গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। কারখানায় আসা যাওয়ার পথে আবুল মিয়া ভুক্তভোগী প্রায় কুপ্রস্তাব দিত। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৩ সালের ২৭ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবুল মিয়া, মানিক, খালেক ও কালাম ভুক্তভোগীকে ধল্লা ইউনিয়নের ফজলু মিয়ার গাজিন্ধার চকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আবুল মিয়া ও মানিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ২০১৭ সালের ১৪ মে আসামি আবুল মিয়া ও মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
লে. কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন জানান, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের আলোচিত গণধর্ষণ মামলার আসামি মো. আবুল মিয়া ওরফে রাজিব যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকাকালীন তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে অন্য গ্রামে বিয়ে করে সংসার করছিলেন। প্রায় ২১ বছর ধরে পালিয়ে থাকা আবুলকে রবিবার রাত ১১টার দিকে সিংগাইর উপজেলার ভূমদক্ষিণ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আসাদ/সালমান/