![শিবালয়ে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি, এলাকায় আতঙ্ক!](uploads/2024/03/04/1709529204.Manikganj.jpg)
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল গ্রামের জান্নাতুল বাকি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে খোঁড়া হয় ২২টি কবর। এতে কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে কবরস্থানের চারপাশ। ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর।
২০০৫ সালে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল গ্রামে ৩৯ শতাংশ জমির ওপর এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠা করেন জান্নাতুল বাকি কবরস্থান। বরংগাইল, সিঙ্গারডাক, কলাগাড়িয়াসহ আশপাশের পাঁচটি গ্রামের মৃত ব্যক্তিদের এখানে দাফন করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় সাত শতাধিক মৃত মানুষকে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। এদিকে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জরিনা বেগম জানান, গত বছরের ৩০ আগস্ট তার ছোট ছেলে মীর আল মাসুদ জনিকে শিবালয় উপজেলার বরংগাইল গ্রামের জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। রবিবার সকালে তিনি কবর জিয়ারত করার সময় দেখতে পান, কবরের ওপর নতুন মাটি। পাশে হাড় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের সবাইকে জানালে তারা এসে দেখতে পান, অনেকগুলো কবর খোঁড়া।
স্থানীয় মো. রহমত আলী বলেন, ‘কবরেও এখন মানুষের শান্তি নেই। মারা যাওয়ার পরও যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে বলার কিছু থাকে না। আজ যাদের কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়ে গেছে, তাদের কষ্ট আরও বেশি। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক, দেওয়া হোক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। তাহলেই এমন কাজ দেশে বন্ধ হয়ে যাবে।’
জান্নাতুল বাকি কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এক নারী আজ (রবিবার) ছেলের কবর জিয়ারত করার সময় দেখতে পান কবরের ওপর নতুন মাটি এবং পাশে হাড় পড়ে আছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চলে আসি। সেখানে ঘুরে দেখতে পাই, মোট ২২টি কবর খোঁড়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি কবর পূর্ণাঙ্গভাবে খোঁড়া আর বাকিগুলো আংশিক খুঁড়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কবর থেকে কয়টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ দুর্বৃত্তরা সেগুলো আবার মাটি চাপা দিয়ে গেছে।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব জানান, বিষয়টি অনেক বেদনাদায়ক। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগেও শিবালয় উপজেলার উথলী, বড় বোয়ালী, ধূলণ্ডী গ্রামের কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।