কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাস কাউন্টার ম্যানেজার জামিল হাসান অর্ণব হত্যার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি বিদেশি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি ও চারটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান।
গ্রেপ্তাররা হলো- শাসনগাছা মোল্লাবাড়ির ফজলে রাব্বি (৩০), গর্জনখোলার সুমন (২৮), শাসনগাছা দক্ষিণ বাড়ির রাশেদ (৩৮), শাসনগাছা মোল্লা বাড়ির কাউছার (২০), খলিলুর রহমান (৬০), রিয়াজ (২৬) ও শাসনগাছা দক্ষিণ বাড়ির সোলেমান (৩৮)।
শাসনগাছা মধ্যমপাড়া আজহার মিয়া ছেলে নিহত জামিল হাসান অর্ণব শাসনগাছা বাস টার্মিনালের সততা বাস সার্ভিসের ম্যানেজার ছিলেন। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে দুই ঘণ্টা ধরে কুমিল্লা শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক নারী যাত্রীর সঙ্গে মাইক্রোবাস চালক ও লাইনম্যানের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসনগাছা মধ্যপাড়া এবং মোল্লাপাড়ার লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ, গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও অর্ণব নিহত হন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মা ঝর্ণা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় গুলি চালানো ফজলে রাব্বিকে পাঁচথুবী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে শাসনগাছা মোল্লাবাড়ি সংলগ্ন খলিলুর রহমানের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের পূর্ব পাশে পরিত্যক্ত রান্না ঘরের সিলিংয়ের ওপর থেকে দুটি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড লোড করা গুলি উদ্ধার করা হয়। অপর আসামি সুমনকে উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নের শাসনগাছায় গ্রেপ্তার করা হয়। সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদে শাসনগাছার মোল্লাবাড়ির মৃত রশিদ ও নুরু মিয়ার ভবনের সীমানা প্রাচীরের মাঝের ফাঁকা জায়গা থেকে দুটি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ট্রাফিক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।
জহির শান্ত/জোবাইদা/অমিয়/