সৈয়দপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাদের লাগানো তালা খুলে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় সবার উপস্থিতিতে তালা খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদর সঙ্গে দীর্ঘসময় আলাচনা করেন তিনি।
পরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজ হাতে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে খুলে দেন অধ্যক্ষের কার্যালয়।
এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ ড. আতিয়ার রহমান, ইউএনও মুহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজমল সরকার, সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহারিয়ার আলম টুটুল, সৈয়দপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ সরদার ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলন।
এ বিষয় ইউএনও মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘সবার সম্মতিতে কলেজের স্বার্থে বিদ্যমান সংকট নিরসনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করার মধ্যেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত। সেজন্যই নিজেদের মধ্যে আলাচনার মাধ্যমে এই সমাধান আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি প্রশাসনিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সমাধান করা হবে। তা ছাড়া এ বিষয়টি মাউশিতে অবগত করা হয়েছে। মাউশি কর্তৃপক্ষ বাকি বিষয় সমাধান দেবে।’
গত ৭ মার্চ ঐতিহাসিক দিবসে কলেজে অনুষ্ঠিত আলাচনাসভায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু না বলার অভিযাগে গত ১৩ মার্চ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে কলেজ ছাত্রলীগ। অধ্যক্ষ ৭ মার্চ ছুটিতে ছিলেন এবং ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। গুলজার হোসেন নামে একজন শিক্ষক ওই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ছিলেন।
ছাত্রলীগ ও কয়েকজন শিক্ষকদের অভিযোগ, অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ না বলেই অনুষ্ঠান শেষ করছেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থি অধ্যক্ষ তাকে কোনো জবাবদিহি করেননি। এ কারণে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধ আন্দোলন করা হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ নেতারা বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে বসে এই জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় ছাত্রলীগ গত ২৪ মার্চ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এর প্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে আলাচনায় বসেন ইউএনও। এর পরই সর্বসম্মতিক্রমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে তালা খুলে দেওয়া হয়।
মমিনুর আজাদ/জোবাইদা/অমিয়/