নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থিতা বাতিলের পরও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রচার অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (১৮ মে) বিভিন্ন এলাকায় তার কর্মী-সমর্থকরা ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালান। এ সময় প্রচারযন্ত্রও ব্যবহার করা হয়।
এর আগে গত বুধবার নির্বাচন কমিশনে বারবার নির্বাচনি আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগে প্রার্থীর উপস্থিতিতে শুনানি করে তার প্রার্থিতা বাতিল করেন নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন জামিল হাসান দুর্জয়। তিনি গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসির বড় ভাই।
শুক্রবার সকাল থেকেই ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রচার চালান মাওনা ইউপির ১নং ওয়ার্ড সদস্য শামীম মৃধা। তিনি বলেন, ‘প্রচার বন্ধের বিষয়ে তৃণমূলে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তাই আমরা প্রচার চালাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী রবিবার আমরা প্রার্থিতা ফিরে পাব।’
প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আনারস’ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল জলিল বলেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী এখন আর তিনি (জামিল হাসান দুর্জয়) প্রার্থী নন। তবে বুধবার তার প্রার্থিতা বাতিল হলেও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তার কর্মীরা প্রচার অব্যাহত রেখে ‘ঘোড়া’ প্রতীকে ভোট চান। এ ঘটনায় বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তও করছেন প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা।
এ বিষয়ে জামিল হোসেন দুর্জয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বলেন, ‘বাতিল করা প্রার্থীর প্রচার চালানোর কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে তার প্রচার বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি যারা ভাঙবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।
আগামী ২১ মে এ উপজেলায় ভোট হবে। দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিলের পরও আরও দুজন প্রার্থী তাদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আনারস প্রতীকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ও ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন শামীম (মোটরসাইকেল)।