ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

ময়মনসিংহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
ময়মনসিংহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় অর্ধ লাখের বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। 

এতে ইমামতি করেন আঞ্জুমান ঈদগাহ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আবদুল্লাহ আল মামুন। 

জামাত শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। পরে মোনাজাতে মুসলমানদের জন্য সুখ-শান্তি কামনা করার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়। 

এরপর মুসল্লিরা কোলাকুলি করেন। 

এর আগে সকাল ৬টা থেকেই ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। সকাল ৭টায় মাঠ মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায়। 

একই ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া নগরীর চকবাজারে ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. আবদুল হক।

আকুয়া বাইপাস এলাকায় মাদানী নূর মার্কাজ মসজিদ মাঠে সকাল ৭টায়, বলাশপুর ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ ছাড়া সদরের ১৬টি স্থানে বড় ঈদ জামাতসহ ছোট ছোট অনেকগুলো জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সবমিলিয়ে জেলার প্রায় দুই হাজার ৫০০টি স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঁঞা খবরের কাগজকে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বড় ঈদ জামাতগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ তৎপরতা ছিল। জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কামরুজ্জামান/পপি/অমিয়/

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার দুটি পৃথক স্থানে দুর্ঘটনায় তারা মারা যান।

নিহতদের মধ্যে কাজল (৬০) মাগুরা সদর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবমোড় এলাকার মৃত গোলামের ছেলে। আর আবু ইছা (৬৫) সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের বুধইর পাড়া এলাকার মোকলেস বিশ্বাসের ছেলে।
 
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজল তার বাড়ির একটি আম গাছের ডাল ছাঁটায় করতে গিয়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একই সময় আবু ঈছা বাড়ি তৈরির জন্য ইটবোঝাই নাটা গাড়ি (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত এক ধরনের যান) ধাক্কা দিয়ে উঠানোর সময় গাড়িটি পিছনে সরে যায়। এতে নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
 
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল জানান, তাদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাশেমুর রহমান/পপি/

চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার
আটক দুই নারী। ছবি: খবরের কাগজ

বিভিন্ন পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৮ জুন) র‍্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন জালিয়াপাড়া এলাকার মো. তারেকের স্ত্রী ঝুমু (৩০) ও
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বালুচড়া এলাকার বাসিন্দা পারভিন আক্তার (২৫)।

র‍্যাব জানায়, সম্প্রতি সময়ে মানব পাচার চক্রের প্রলোভনে পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়া এক নারী পালিয়ে আসার পর তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কথা। ওই নারী গত ২৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাব। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, আসামি ঝুমু ও পারভিন আক্তার চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই মামলার আরেক আসামি মো. তারেককে গত ২৪ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আমাদের অভিযানে এ চক্রের আরও দুইজন ধরা পড়ে। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই সিন্ডিকেট চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি থেকে শুরু করে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মানব পাচার চক্রে বেশ কিছু দালাল জড়িত। সীমান্ত পারাপার করতে সহায়তা করে লাইনম্যান। আইনি পদক্ষেপ নিতে তাদের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

তারেক মাহমুদ/ইসরাত চৈতী/ 

কক্সবাজারে আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য আটক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
কক্সবাজারে আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য আটক
আটক আনসার আল ইসলাম এর তিন সদস্য

কক্সবাজারের চৌফলদন্ডিতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। 

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে র‌্যাব ১৫-এর সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। 

আটকরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে জাকারিয়া মন্ডল (১৯), ভোলার বোরহান উদ্দিনের মো. নুরুল আমিনের ছেলে নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনীর সোনাগাজীর ইদ্রীস আলীর ছেলে মোহাম্মদ ওজায়ের (১৯)।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এবং র‍্যাব-৭ এর যৌথ আভিযাত্রিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চৌফলদন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর তিন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি উগ্রবাদী বই, ২৯টি লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম।’ 

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের এই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়ে। 

আনসার আল ইসলামের নামে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যহত হচ্ছে বিধায় তাদের কার্যক্রমকে চলমান রাখতে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘আস-শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি গ্রুপ তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এই গ্রুপটি পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ৮৫-১০০ জন। এই গ্রুপটির উদ্ভাবক হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক হাবিবুল্লাহ এবং কথিত আমির সালাহউদ্দিন।’

জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃস্থানীয় অনেক সদস্য গ্রেপ্তার হয়। যেহেতু কিছু সংখ্যক সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে, তাই এই সংগঠনটিকে তারা পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন রিক্রুটিং করছে। 

উঠতি বয়সী কিশোরদের অপব্যাখা দিয়ে সহজে ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে ভূলপথে নেওয়া যায় বিধায় কোমলমতি কিশোরদের তারা প্রথমে টার্গেট করতো। তাই এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যই ১৯-২০ বছর বয়সী তরুণ। সাধারণ  লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো।’ 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/ 

পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ১০
ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহে বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪ হাজার ৬৪০ টাকা, ৩টি রিফ্লেক্টিং বেল্ট, ৩টি লাঠি ও বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদয়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর চরপাড়া, আকুয়া বাইপাস ও শম্ভুগঞ্জ এলাকায় চাঁদাবাজির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- জাহাঙ্গীর ইসলাম (৪০), ফরহাদ হোসেন (৩৫), ইদ্রিস আলী (৩৭), তোফাজ্জল হোসেন (৪১), মিঠুন (২৫), আবু সাঈদ (৩০) ও রুবেল (৩০)।

এ ছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছে জেলার তারাকান্দা উপজেলা ডিটুযারী গ্রামের সবুজ (৩৮), ঈশ্বরগঞ্জের দত্তপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও গৌরীপুরের নওয়াগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ আলমাস (৪০)।

র‌্যাব জানায়, এরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী যানবাহন ময়মনসিংহে প্রবেশের সময় তারা বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রসিদও দিয়ে থাকে। চালকরা কখনো তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর, চালক-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই চক্রটি ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি রাতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে। তাদের আশ্রয়দাতা, পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও মদদদাতাদের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’

কামরুজ্জামান মিন্টু/সাদিয়া নাহার/

কামরুজ্জামান মিন্টু/সাদিয়া নাহার/

সুনামগঞ্জে টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৬০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
সুনামগঞ্জে টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৬০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ
ছবি: জব্দ করা চোরাই চিনি

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুরে টাস্কফোর্সের পৃথক অভিযানে ২৬০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন এলাকায় চারটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮০ বস্তা চিনি জব্দ করে।

একইভাবে বুধবার (২৬ জুন) সুলেকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেকের একটি গোডাউন থেকে অবৈধ পথে আসা ১৮০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। 

বিশ্বম্ভপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন খবরের কাগজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বিজিবি ও বিশ্বম্ভপুর থানার একটি টিম নিয়ে সুলেকাবাদ ইউনিয়ের চালবনে অভিযান চালিয়ে চারটি বাড়ি থেকে ৮০ বস্তা চিনি জব্দ করে। যার বাজারমূল্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তবে তখন কাউকে আটক করা যায়নি। একই ভাবে বুধবার সকাল ৯টায় টাস্কফোর্সের অভিযানে আরও ১৮০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ লাখ হাজার ৮০ হাজার টাকা। 

যৌথ অভিযানের মাধ্যমে জব্দ করা চিনি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও। 

দেওয়ান গিয়াস/ইসরাত চৈতী/