![পাহাড়ে অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ](uploads/2024/06/20/CTG1-1718891642.jpg)
চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে রয়েছে অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ। এসব সংযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। পাশাপাশি ১৫ দিন পর এ বিষয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৮তম সভায় তিনি এসব নির্দেশ দেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘সিলেটে বৃষ্টি, বন্যা হয়েছে। আমাদের চট্টগ্রাম অঞ্চলে যে এমনটা হবে না তা বলা মুশকিল। কাজেই মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
সভায় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীরা পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ পাচ্ছে। তা হলে তারা কীভাবে পাচ্ছে- এটা বিবেচ্য বিষয়। সেই সঙ্গে পাহাড়ে বসবাসকারীদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাও করে দেওয়া হয়েছে। কারা সুবিধা করে দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। সুবিধা পেলে তো কেউ পাহাড় ছেড়ে আসতে চাইবে না। প্রতিবছর সভা হচ্ছে। কিন্তু আশানুরূপ কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। পাহাড়ে ঠিকমতো অভিযান পরিচালিত হয় না। পরিবেশ অধিদপ্তর শুধু নোটিশ দেয়, সুনির্দিষ্ট মামলা দেয় না। এসব বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সবাইকে আইন অনুসরণ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। আমরা যে কারও বিরুদ্ধে একেবারেই ব্যবস্থা নেই না, সেটা বলা ঠিক হবে না। তবে পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতেই আমাদের আজকের সভা। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।’
এদিকে সভায় বক্তাদের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ, সেখানে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, পাহাড়ধসের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীতে ২৬টি পাহাড়ে ৬ হাজার ৫৫৮টি পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছে। ২৬টি পাহাড়ের মধ্যে ১৬টি সরকারি সংস্থার এবং ১০টি ব্যক্তিমালিকানাধীন। এর মধ্যে সরকারি সংস্থার ১৬টি পাহাড়ে ৬ হাজার ১৭৫টি এবং ১০টি ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড়ে ৩৮৩টি পরিবার বসবাস করছে।