![পাকিস্তানে রমজানে কলা ও পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা](uploads/2024/03/19/1710840625.banana.jpg)
মূল্যবৃদ্ধির কারণে রমজান মাসে কলা ও পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর পাকিস্তান সরকার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জাতীয় পরিষদে সম্প্রতি দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান। তিনি স্পষ্ট করে জানান, এ নিষেধাজ্ঞা কেবল রমজান মাসের জন্য প্রযোজ্য এবং এটি সাময়িক।
নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তটি মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ হলো সৈয়দ নঈদ কামার ও অন্য আইনপ্রণেতাদের উত্থাপিত একটি দৃষ্টি আকর্ষণমূলক বিজ্ঞপ্তি, যা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ফলে কৃষি রপ্তানির ওপর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে। মন্ত্রী জাম কামাল খান জাতীয় পরিষদকে আশ্বস্ত করেছেন, কৃষকদের উদ্বেগের প্রতি সরকারের সংবেদনশীলতা দেখানোর জন্য নিষেধাজ্ঞাটি পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো পবিত্র মাসের সময় এই প্রয়োজনীয় দ্রব্য স্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করা, জনগণের মধ্যে উদ্বেগ দূর করা এবং কৃত্রিম সংকটের ভুল ধারণা রোধ করা।
নিষেধাজ্ঞাটি যদিও ক্ষুদ্র পরিসরে কৃষকদের রপ্তানির সুযোগকে সীমিত করেছে, তবে এটি ধর্মীয় উৎসবের সময় খাদ্যনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপের প্রমাণ দেয়। যাহোক, জাম কামাল আশ্বস্ত করেছেন, সরকার কৃষকদের উদ্বেগের প্রতি মনোযোগী এবং পরিস্থিতি অনুমতি দিলে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমানো যেতে পারে।
এদিকে পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের ফেডারেল সরকার। দেশটি রমজান মাস উপলক্ষে ভর্তুকি মূল্যে আটা, ঘি ও চিনি সরবরাহের জন্য ৬৪৮ কোটি ৪০ লাখ (৬ দশমিক ৪৮৪ বিলিয়ন) রুপি বরাদ্দ দিয়েছে। একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, রমজান প্যাকেজে আটার জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ ভর্তুকি দেবে পাকিস্তান সরকার। আটাতে ভর্তুকির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৪০ লাখ (৩ দশমিক ৪৭৪ বিলিয়ন) রুপি। এর পরেই চিনির জন্য ১৬১ কোটি (১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন) রুপি এবং ঘির জন্য ১৪০ কোটি (১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) রুপি বরাদ্দ দেওয়া হবে।
খবরে জানানো হয়, রমজান মাসে দরিদ্রদের ত্রাণ দিতে সরকার ১৯টি প্রয়োজনীয় দ্রব্য ভর্তুকিতে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। এ জন্য ৭৪৯ কোটি ২০ লাখ রুপির রমজান রিলিফ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদের অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটি (ইসিসি)। এই প্যাকেজের আওতায় ইউটিলিটি স্টোর্স করপোরেশনের (ইউএসসি) মাধ্যমে গম, চিনি, ঘি, তেল, ডাল, বেসন, চাল, চা, দুধসহ ১৯টি দ্রব্য ভর্তুকিতে বিক্রি করা হবে। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও বিজনেস রেকর্ডার