বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত ও যথাযথ সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৬১০ জন কৃষিবিদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন তারা।
৬১০ জন কৃষিবিদদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় কৃষিবিদ নেতা, সিনিয়র কৃষিবিদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কৃষি, মৎস্য, পশুচিকিৎসা, পশুপালন, কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি প্রকৌশলীরা। তাদের পক্ষে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও সদস্য সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সুস্থ করে তুলতে হলে যে ধরনের চিকিৎসা ও যন্ত্রপাতি দরকার তা দেশে নেই। মেডিকেল বোর্ড বলেছে, দেশে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই।’
যৌথ বিবৃতিতে কৃষিবিদ নেতারা বলেন, ‘সরকারের উচিত হবে রাজনীতি ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে বিদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া।’
তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া কার্যত ২০১৮ সালে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। তিনি আগে থেকেই অনেকগুলো জটিল রোগে ভুগছিলেন। কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতা আরও প্রকট আকার ধারণ করায় তার বর্তমান অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল হওয়ায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসা অতীব জরুরি, যা প্রতিটি নাগরিকের মানবিক অধিকার।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর দেওয়া কৃষিবিদদের মধ্যে অন্যতম হলেন- কৃষিবিদ মো. ইবরাহিম খলিল (সাবেক মহাপরিচালক-ডিএই ও সাবেক সভাপতি-কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা (সাবেক মহাসচিব কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামিম (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কৃষিবিদ মুখলেছুর রহমান (সাবেক চেয়ারম্যান, বিএডিসি), সাবেক ভাইস চ্যান্সেলরদের মধ্যে কৃষিবিদ ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞা, কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল হালিম খান, কৃষিবিদ ম. মুস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ ড. এ. এম. ফারুক, কৃষিবিদ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/সালমান/