ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: ১৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিএনপির নেতারা
ছবি : খবরের কাগজ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলটির সিনিয়র ছয় নেতা। 

সোমবার (১৭ জুন) রাতে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গুলশানের বাসভবনে যান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁও ঈদ করায় কারণে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময়ে যোগ দিতে পারেননি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রাত ৮টা ৫ মিনিটে ফিরোজায় যান। ঘন্টাব্যাপী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। 

খন্দকার মোশাররফ ছাড়াও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান। 

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

ছাত্রদলের কমিটি গঠনে অনিয়ম, পদবঞ্চিতদের স্মারকলিপি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
ছাত্রদলের কমিটি গঠনে অনিয়ম, পদবঞ্চিতদের স্মারকলিপি
ছবি: সংগৃহীত

ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে, অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন সংগঠনটির শতাধিক পদবঞ্চিত নেতা-কর্মী। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় ছাত্রদলের শতাধিক পদবঞ্চিত নেতা রাজধানীর ৭১ হোটেলের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

এতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কমিটিতে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন এবং বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। কমিটিতে পদ পাওয়া অভিযুক্তদের তালিকা ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয়দের তালিকা যুক্ত করা হয়।

সবুজ/এমএ/

সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: এ্যানি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: এ্যানি
সমাবেশের বিষয়ে কথা বলছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি

আগামী শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সমাবেশের বিষয় জানাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-তে যান দলের নেতারা। 

প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠকের পর এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে আমাদের একটা অ্যাপয়েনমেন্ট ছিল। উনি মিটিংয়ে ছিলেন। উনার পক্ষ থেকে অ্যাডিশনাল কমিশনার হাফিজ সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি, দেখা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২৯ জুন শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করা হবে। এ জন্য আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি নিয়ে যাই। প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাকে সিসিইউর সুযোগ-সুবিধাসংবলিত কেবিনে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার শারীরিক অবস্থার আগের চাইতে উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি। তিনি আগের মতোই আছেন।’ 

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃদযন্ত্রের জটিলতা ছাড়াও ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে ঢাকার গুলশানের বাসায় ছিলেন। সেখানে বেশি অসুস্থ হলে গত শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত রবিবার তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবি ৬১০ কৃষিবিদের

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবি ৬১০ কৃষিবিদের
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত ও যথাযথ সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ৬১০ জন কৃষিবিদ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন তারা। 

৬১০ জন কৃষিবিদদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় কৃষিবিদ নেতা, সিনিয়র কৃষিবিদ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কৃষি, মৎস্য, পশুচিকিৎসা, পশুপালন, কৃষি অর্থনীতি ও কৃষি প্রকৌশলীরা। তাদের পক্ষে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও সদস্য সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সুস্থ করে তুলতে হলে যে ধরনের চিকিৎসা ও যন্ত্রপাতি দরকার তা দেশে নেই। মেডিকেল বোর্ড বলেছে, দেশে চিকিৎসা দেওয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই।’ 

যৌথ বিবৃতিতে কৃষিবিদ নেতারা বলেন, ‘সরকারের উচিত হবে রাজনীতি ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে বিদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া।’

তারা বলেন, ‘খালেদা জিয়া কার্যত ২০১৮ সালে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। তিনি আগে থেকেই অনেকগুলো জটিল রোগে ভুগছিলেন। কোভিড পরবর্তী শারীরিক জটিলতা আরও প্রকট আকার ধারণ করায় তার বর্তমান অবস্থা আরও ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল হওয়ায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসা অতীব জরুরি, যা প্রতিটি নাগরিকের মানবিক অধিকার।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর দেওয়া কৃষিবিদদের মধ্যে অন্যতম হলেন- কৃষিবিদ মো. ইবরাহিম খলিল (সাবেক মহাপরিচালক-ডিএই ও সাবেক সভাপতি-কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা (সাবেক মহাসচিব কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামিম (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন), কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কৃষিবিদ মুখলেছুর রহমান (সাবেক চেয়ারম্যান, বিএডিসি), সাবেক ভাইস চ্যান্সেলরদের মধ্যে কৃষিবিদ ড. মোশাররফ হোসাইন মিঞা, কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল হালিম খান, কৃষিবিদ ম. মুস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ ড. এ. এম. ফারুক, কৃষিবিদ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

এক বছরে আ. লীগের আয় বেড়েছে ২৭ কোটি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
এক বছরে আ. লীগের আয় বেড়েছে ২৭ কোটি
আওয়ামী লীগ

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তাতে দেখা গেছে, বিগত এক বছরে দলটির আয় বেড়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি।

একই বছরে দলটি ব্যয়ও বেড়েছে। আগের চেয়ে যা দুই কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সংস্থাটির সচিব শফিউল আজিমের কাছে আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দেন দলটির একটি প্রতিনিধিদল। 

পরে দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এ বিবরণী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হয়। আমরা আগেই দিলাম।

আশিকুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে ব্যাংকে আওয়ামী লীগের ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল। এ বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে সদস্যদের মাসিক চাঁদার পরিমাণ এক কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) এক কোটি এক লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রি (তিন হাজার ৩৬৫টি) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। 

ফরম বিক্রি (অন্যান্য) দুই কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ চার কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এতে মোট ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে। আর ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দলটির ব্যয় হয়েছে।

দলটির কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘অফিস স্টাফদের বেতন; রাজনৈতিক কর্মসূচি; পোস্টার ছাপানো; মানুষকে অনুদান; সাহায্য-সহযোগিতা প্রভৃতি খাতে ব্যয় হয়ে থাকে। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা ছিল, তার সঙ্গে ২০২৩ পঞ্জিকা বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা যোগ করলে মোট তহবিল দাঁড়ায় ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আবার গত ছয় মাসে আয় বেড়েছে। এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি।’

বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪৪টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কোনো দল পরপর তিন বছর হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি। 

এলিস/অমিয়/