![নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করুন](uploads/2024/03/08/1709874067.post.jpg)
বিশ্বায়নের যুগেও নারীরা পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে অবহেলিত, নিগৃহীত। নারীর সঠিক মূল্যায়ন পরিবার থেকেই শুরু হওয়া উচিত। বাড়িতে নারীরা অনেক কাজ করলেও তাদের কোনো মূল্যায়ন হয় না। পুরুষরা সব কাজে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। নারীর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে থাকে পরিবার থেকেই। সে জন্য নারীর আর্থিক স্বাধীনতা খুবই দরকার। পরিবার থেকেই নারীরা অনেক নির্যাতন সহ্য করে থাকেন। তারা নিরুপায় হয়ে চক্ষুলজ্জায় হলেও সংসার করে সমাজে টিকে থাকেন। নারীরা সব ক্ষেত্রেই নির্যাতিত হতে থাকেন। বাসাবাড়ির কাজ থেকে শুরু করে শিক্ষাকেন্দ্র, অফিস-আদালত, বাস-ট্রেন, রাস্তাঘাট, মার্কেট, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতিতে নারীদের প্রতি অনাচার, অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয়। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে নারীদের অবমাননার শিকার হতে হয়। নির্যাতনের যে চিত্র সারা দেশে দেখা যায়, তাতে নারীরা সাহস পান না আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে। তাদের মানসিকভাবেই দাসত্ব মেনে নিতে হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ কীভাবে হবে, যেখানে নারীর সমমর্যাদা নেই। নারীদের দেশের বোঝা হিসেবে চিন্তা না করে সম্পদ হিসেবে ভাবতে হবে। বিশ্ব নারী দিবসে তাদের কথা ভাবলেও সারা বছর অবহেলার পাত্র হিসেবেই দেখা হয়। একজন নারীকে অনেক সংগ্রাম করেই পরিবার ও সমাজে টিকে থাকতে হয়। দেশকে উন্নত করতে হলে সবার আগে নারীকে মূল্যায়ন করতে হবে।
মদিনা পারভীন সাথী
প্রধান শিক্ষক, আবু তালেব বিদ্যানিকেতন
শাইলকাঠি, সুলতানপুর ইউনিয়ন, রাজবাড়ী