![হাসিল ছাড়া পশু কিনলে কোরবানি আদায় হবে?](uploads/2024/06/12/8-1718185728.jpg)
কোরবানি ত্যাগ ও প্রেমময় এক ইবাদত। ইসলামের নিদর্শন। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির অন্যতম শর্ত হালাল উপার্জন থেকে কোরবানি করতে হবে। আল্লাহ হারাম গ্রহণ করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বৈধ ও হালাল জীবিকার ইবাদত ছাড়া কোনো ইবাদত আল্লাহর কাছে উঠানো হয় না।’ (বুখারি, হাদিস: ১৩৪৪)
ইসলামের এই বিশেষ ইবাদতের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ঈদের বেশ কিছু দিন আগেই বিভিন্ন স্থানে জমে পশুর হাট। হাট যারা পরিচালনা করেন, তারা হাটের ভাড়া হিসেবে বিক্রীত পশুপ্রতি কিছু অর্থ নির্ধারণ করেন—যাকে হাসিল বলা হয়। হাসিল মূলত হাট আয়োজকদের হক। হাসিল না দিলে কোরবানি হবে না; এ ধরনের কথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এ কথা সঠিক নয়।
কোরবানি হাককুল্লাহ তথা আল্লাহর হক। পশুর নির্ধারিত মূল্য বিক্রেতাকে পরিশোধ করার পর এর সম্পর্ক আল্লাহর সঙ্গে হয়ে যায়। আর হাসিল হচ্ছে হাককুল ইবাদ তথা বান্দার হক। কোরবানি কবুল হওয়া না হওয়ার সাথে এর সম্পর্ক নেই। তবে হাসিল পরিশোধ করা জরুরি।
কারও কারও মধ্যে এই হাসিল আদায়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদাসীনতা দেখা যায়। কেউ যদি হাসিল আদায় না করে তা হলে সে গুনাহগার হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের সম্পদ গ্রাস করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করেছে সে যেন তার থেকে আজই ক্ষমা চেয়ে নেয়, তার ভাইয়ের জন্য তার কাছ থেকে নেকি কাটার আগে। কেননা সেখানে (হাশরের ময়দানে) কোনো দিনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি নেকি না থাকে, তবে তার (মাজলুম) ভাইয়ের গুনাহ এনে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৫৩৪)
লেখক: আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক