![কোরবানির দিন নিয়ে যে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে](uploads/2024/06/13/13-02-1718257616.jpg)
কোরবানির দিনের এক নাম শ্রেষ্ঠ হজের দিন। যে দিনে হাজিরা তাদের পশু জবাই করে হজকে পূর্ণ করেন। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরবানির দিন জিজ্ঞেস করলেন, ‘এটা কোন দিন?’ সাহাবিরা উত্তর দিলেন, ‘কোরবানির দিন।’ তিনি বললেন, ‘এটা হলো শ্রেষ্ঠ হজের দিন।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ১৯৪৫)
কোরবানির দিন বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে দিবসসমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন। এরপর এর পরের তিনদিন।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ১৭৬৫)
কোরবানির দিন ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও মর্যাদাপূর্ণ। কেননা এ দিনটি বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনে ঈদের নামাজ ও কোরবানি একসঙ্গে আদায় করা হয়। যা ঈদুল ফিতরের নামাজ ও সদকাতুল ফিতরের তুলনায় শ্রেষ্ঠ। আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কাওসার দান করেছেন। এর শুকরিয়া আদায়ে তিনি তাঁকে এ দিনে কোরবানি ও নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঈদুল আজহার দিনে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ কাজ হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরবানির দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কোরবানি করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহতায়ালার কাছে অধিক প্রিয় নয়। কেয়ামতের দিন এই কোরবানিকে তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহতায়ালার কাছে কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি করো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৪৯৩)
তাই সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না, তার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর ধমকি এসেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২১২৩)
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক