ঢাকা ২২ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার জবাবে যা বললেন কোহলি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার জবাবে যা বললেন কোহলি
ছবি : সংগৃহীত

এবারের আইপিএলে ১০ ইনিংসে ৫০০ রান করে কমলা ক্যাপ নিজের দখলে রেখেছেন বিরাট কোহলি। এরপরও কোহলি সমালোচিত হচ্ছেন মন্থর স্ট্রাইকরেটের কারণে। গুজরাটের বিপক্ষে ৪৪ বলে অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস। অপরাজিত থেকে বেঙ্গালুরুকে জিতিয়েছেন ম্যাচ। একইসাথে দিলেন সকল সমালোচনার জবাবও।

গুজরাটের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয়ের পর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস সকলেই আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলছে না। আমি স্পিন খেলতে পারি কিনা সেই নিয়ে তারাই আলোচনা করছে যারা এসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে। আমার কাছে দলকে জেতানোই মূল বিষয়। গত ১৫ বছর ধরে সেটাই করে আসছি। জানি না যারা একটা জায়গায় বসে এই কথাগুলো বলছেন তারা ওই পরিস্থিতিতে পড়েছেন কিনা।’

চলমান আইপিএলে স্ট্রাইক রেট নিয়ে কম কথা শোনেননি বিরাট। সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার থেকে শুরু করে অনেক ধারাভাষ্যকারই মালোচনা করেছেন।

সকল ধরনের সমালোচনাকে কোহলি খুবই অল্পই পাত্তা দেন, এই কথাটা সবারই জানা রয়েছে। সমালোচনাকে গায়ে না মাখিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখাতেই মনযোগী তিনি, ‘দলের জন্য পারফর্ম করাই আমার কাজ। লোক তো বসে বসে খেলা নিয়ে নিজেদের ধারণা বলতেই পারে। কিন্তু যারা প্রতিদিন খেলে যায়, তারা জানে ঠিক কী করছে এবং কেন করছে। দুটো মোটেই এক বিষয় নয়।'

অন্যান্য আইপিএলে দেখা গেছে বিরাট কোহলি ও ভারতের সাবেক ব্যাটার গৌতম গম্ভীরের সম্পর্কের মধ্যে একটা তিক্ততা ছিল। যদিও এবারের আইপিএলে তার ভিন্ন চিত্রই দেখা গেছে। মাঠে দুজনকে একসঙ্গে ছবিও তুলতে দেখা গেছে কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচে।

এমনকি স্ট্রাইক রেট বিষয়ে কোহলির পাশে আছেন গম্ভীর। ‘ক্রিকেটারের নিজস্ব পদ্ধতি থাকে। যেটা বিরাট পারবে, সেটা ম্যাক্সওয়েল পারবে না। দলে সব ধরনের ক্রিকেটার থাকা প্রয়োজন। নাহলে ৩০০ হতে পারে, আবার ৩০ রানেও অলআউট হয়ে যেতে পারেন। স্ট্রাইক রেট নির্ভর করে পিচ, ম্যাচের অবস্থার উপরে। যখন দল জেতে, তখন ১০০ স্ট্রাইক রেটও ভালো মনে হয়। আর দল হারলে ১৮০ স্ট্রাইক রেট নিয়েও সমালোচনা হয়।’

জার্মানির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে স্পেন

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০১:০২ এএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০১:০৬ এএম
জার্মানির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে স্পেন
ছবি: সংগৃহীত

ঘরের মাঠে হৃদয় ভাঙল জার্মানির। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে গেলে স্বাগতিকদের স্বপ্নযাত্রা। উত্তেজনা ও রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল দে লা ফুয়েন্তের স্পেন।

স্টুটগার্টে শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে স্পেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকের গোলে জয় তুলে নিয়েছে সবশেষ ২০১২ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। জয়ী দলের পক্ষে গোল দুটি করেছেন দানি ওলমো ও মিকেল মেরিনো।

এবারের প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্ব এবং শেষ ষোলোর ম্যাচগুলো মিলিয়ে সবচেয়ে সেরা পারফরম্যান্স ছিল এই দুই দলের। যৌথভাবে ইউরোর সবচেয়ে সফল দলও তারা। সর্বাধিক ৩ বার করে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে দুই দলই। কোয়ার্টার ফাইনালেই এমন দুই দলের মুখোমুখি লড়াইকে অনেকে ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল হিসেবে আখ্যা দিচ্ছিলেন। মাঠের লড়াইয়ের কথা বললে সত্যিকার অর্থেই তেমন মনজুড়ানো এক ম্যাচেরই স্বাদ পেয়েছেন ফুটবল-সমর্থকরা।

প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলশূন্য সমতায়। বিরতির পর স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় স্পেন। তরুণ তুর্কি লামিনে ইয়ামালের এসিস্ট থেকে গোলটি করেন দানি ওলমো। গোল হজমের পর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে জার্মানি। কিন্তু কখনো স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন, কখনো বা আবার ভাগ্য সহায় হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৮৯ মিনিটে ফ্লোরিয়ান ওয়ার্টজ গোল করে স্বাগতিক সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেন। অতিরিক্ত সময়ের লড়াইয়ে খানিকটা এগিয়ে ছিল জার্মানিই। কিন্তু ফুটবলে গোলই তো শেষ কথা। সেই গোল আদায় করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন।

 

খেলতে খেলতেই চলে গেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
খেলতে খেলতেই চলে গেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া
গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ারউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ারউর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে খেলতে খেলতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশে দাবা ফেডারেশনের ইন্টারন্যাশনাল জাজ হারুনুর রশিদ।

মৃত্যুকালে জিয়াউর রহমানের বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। ২০০২ সালে দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন জিয়া। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার।

বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সিরিজের সূচি প্রকাশ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সিরিজের সূচি প্রকাশ
ফাইল ছবি

আগামী ২১ আগস্ট থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে বাংলাদেশ দলের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে হবে সিরিজের দুই টেস্ট।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সূচি অনুযায়ী সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ২১ আগস্ট। রাওয়ালপিন্ডিতে হবে প্রথম টেস্ট।

দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু করাচি। এই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ৩০ আগস্ট। 

এই সিরিজকে সামনে রেখে আগামী ১৭ আগস্ট পাকিস্তানে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।

পার্থ/সালমান/

হামবুর্গে বদলা না পুনরাবৃত্তি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
হামবুর্গে বদলা না পুনরাবৃত্তি
অনুশীলনে ফ্রান্সের অলিভার জিরুদ ও ক্রিশ্চিয়ানে রোনালদো

১৯৭৮ থেকে ২০১৫, দীর্ঘ এই সময়ে টানা ১০ ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল পর্তুগাল। সেই খরা পর্তুগাল কাটায় ২০১৬ সালে, ইউরোর ফাইনালে (১-০)। ফরাসিদের হারিয়ে রোনালদোরা জেতে পরম আরাধ্যের প্রথম ইউরো শিরোপা। এরপর দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ইউরোর সবশেষ আসরে। গ্রুপ পর্বের সেই লড়াইটি ছিল অমীমাংসিত (২-২)। সেই লড়াইয়ের চার বছর পর ফ্রান্স ও পর্তুগাল আবার মুখোমুখি। এবার কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চ। সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে আজ হামবুর্গে মুখোমুখি দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন। ফ্রান্সের সামনে ২০১৬ ফাইনাল হারের শোধ তোলার উপলক্ষ। পর্তুগালের চোখ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথম সেমিতে পা রাখা। হামবুর্গে কী হবে শুক্রবার (৫ জুলাই) , ফরাসিদের বদলা নাকি পর্তুগিজদের পুনরাবৃত্তি?

লড়াইটা শুক্রবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বনাম কিলিয়ান এমবাপ্পেরও। যদিও সময়ের দুই তারকা ফুটবলার এখনো নামের সুবিচার করতে পারেনি। এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে একটি গোল পেলেও রোনালদোর হিসেবটা শূন্য। দুই ঘুমন্ত দৈত্য আজ জেগে উঠতে চাইবে প্রাণপণ, তা অনুমেয়।

হেড টু হেড কিংবা সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স- সব দিক থেকেই এগিয়ে থাকছে ফ্রান্স। ২৮ বারের মোকাবিলায় ফ্রান্সের জয় ১৯টি। সেখানে পর্তুগালের জয় ৬টি। ড্র হয়েছে তিন ম্যাচ। ২০১৬ ইউরো ফাইনালে ফ্রান্সকে হারানোর পর আর জয় পায়নি পর্তুগাল। তিনবারের দেখায় হার দুটি, ড্র একটি। 

ইউরো ফুটবলে ফ্রান্স দুবারের চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৪ ও ২০০০)। ২০১৬-তে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা থেকেছে অস্পর্শ। গত আসরে দলটি বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। এবার কতদূর যাবে ফ্রান্স, তা সময়ই বলে দেবে। যদিও চলতি টুর্নামেন্টে ফ্রান্স অজেয়। কিন্তু নামের সঙ্গে পারফরম্যান্সের ব্যাপক তফাত দলটির। গ্রুপ পর্বে এক জয় ও দুই ড্রয়ের পর শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামকে দিদিয়ে দেশমের দল হারায় ১-০ গোলে। গোলটি ছিল প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী।

অন্যদিকে পর্তুগাল শেষ দুই ম্যাচে গোলহীন, শেষ ষোলোর বৈতরণী দলটি পার হয়েছে টাইব্রেকারে স্লোভেনিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে। যেখানে পেনাল্টি মিসের পর কেঁদেছিলেন রোনালদো। গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তার অবিশ্বাস্য বীরত্বে শেষ আটে নাম লেখায় পর্তুগিজরা। 

তারপরও ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত পর্তুগাল। দলটির হেড কোচ রবার্তো মার্তিনেজ বলেন, ‘আমাদের পূর্ণ মনোযোগ কোয়ার্টারের ম্যাচে এবং প্রস্তুত ফ্রান্সের জন্য। তারা খুব শক্তিশালী, তবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মরিয়া আমরা।’ অন্যদিকে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমের চোখ সেমিতে।

তিনি বলেন, ‘এখনো আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। অথচ দল হিসেবে আমাদের আরও ভালো কিছু করা উচিত। সবাই ক্ষুধার্ত সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’

ইউরোর চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন রোনালদো (২০টি)। কম যাননি এমবাপ্পেও (১৫টি)। কিন্তু চেষ্টার সমান্তরালে মেলেনি ফল। এবার হামবুর্গের লড়াইয়ে ফরাসি দুর্গের পতন ঘটাতে পর্তুগাল তাকিয়ে থাকবে রোনালদোর দিকে। ফরাসিরা সওয়ার হতে চাইবে এমবাপ্পের কাঁধে। শেষ হাসি কে হাসবেন, তা সময়ই বলে দেবে। 

ফাইনালের আগে ‘ফাইনাল’

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
ফাইনালের আগে ‘ফাইনাল’
স্পেনের লামিনে ইয়ামেল ও অনুশীলনে জার্মানি শিবির

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে সফল দুটি দল জার্মানি ও স্পেন। তিনবার করে মহাদেশীয় এই ফুটবল আসরে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে দুই দল। এবার চতুর্থ শিরোপায় চোখ রেখেই এগোচ্ছিল তারা। তবে শেষ আটেই দুই দলের একটিকে থামতে হচ্ছে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়েই যে মুখোমুখি সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

স্টুটগার্টে শুক্রবার (৫ জুলাই) প্রতিযোগিতার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক জার্মানি ও স্পেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির জন্য ইউরো কাপ এখন এক হাহাকারের নাম। ১৯৯৬ সালের পর আর এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি। ঘরের মাঠে আয়োজিত এবারের আসরে এখন পর্যন্ত শিরোপার দীর্ঘ খরা কাটানোর মিশনে দুর্দান্তই দলটি। ওদিকে সবশেষ ২০১২ সালে ইউরো জেতা স্পেন অনেকদিন পর যেন নিজেদের স্বকীয় ফুটবল শৈলী দেখাতে পারছে। এক কথায় যাকে বলে নান্দনিক ফুটবল।

দে লা ফুয়েন্তের স্পেন এবারের ইউরো মিশন শুরু করে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে। পরের ম্যাচেই তারা ইতালিকে হারায় ১-০ গোলে। এরপর আলবেনিয়াকে একই ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপসেরা হিসেবে শেষ ষোলোতে ওঠে। স্পেনই এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয় পাওয়া একমাত্র দল। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জর্জিয়াকে তো কোনো পাত্তাই দেয়নি দলটি। প্রথমে গোল হজম করলেও তুলে নেয় ৪-১ গোলের দাপুটে এক জয়।

ইউলিয়ান নাগেলসমানের জার্মানিও সাম্প্রতিক অতীতের বিবর্ণতা ঘুচিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই এগোচ্ছিল দারুণ ছন্দে। স্বাগতিক হওয়ায় এবারের ইউরোয় তাদের প্রতি সমর্থকদের প্রত্যাশা বেশি। এখন পর্যন্ত প্রত্যাশার প্রতিদান দারুণভাবেই দিয়েছে তারা। স্কটল্যান্ডকে ৫-১ গোলে গুঁড়িয়ে আসর শুরুর পর হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দলটি। বলতে গেলে হারতে হারতে ম্যাচটা ড্র করে। শেষ ষোলোয় বিপজ্জনক দল ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের জায়গা করে নেয় তারা।

এখন তাদের সামলাতে হবে স্পেন চ্যালেঞ্জ। মুখোমুখি লড়াইয়ে যদিও দুই দল প্রায় সমানে সমান। এখন পর্যন্ত ২৬ বারের দেখায় ৯টিতে জিতেছে জার্মানি, ৮টিতে স্পেন, বাকি ৯ ম্যাচ ড্র হয়েছে। কিন্তু ১৯৮৮ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর বড় প্রতিযোগিতায় আর স্পেনের বিপক্ষে জয় পায়নি জার্মানি। সেবার গ্রুপ পর্বের দেখায় ২-০ গোলে জিতেছিল জার্মানি। এরপর ইউরো, বিশ্বকাপ ও নেশন্স লিগ মিলিয়ে ছয়বারের দেখায় কোনোবারই জার্মানি জয় পায়নি। হয় ম্যাচ ড্র হয়েছে, না হয় স্পেন জিতেছে। 

সবশেষ এই দুই দল মুখোমুখি হয় কাতার বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল। এর দুই বছর আগে নেশন্স লিগে জার্মানিকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল স্পেন। সবমিলিয়ে স্পেনের বিপক্ষে পাওয়া জার্মানির জয়টাও সেই ১০ বছর আগের, ২০১০ সালে প্রীতি ম্যাচে। টনি ক্রুসের শেষ মুহূর্তের গোলে স্পেনের মাঠে ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছিল জার্মানি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ জার্মানি কি হাসতে পারবে? নাকি স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে নিজেদের দুর্দান্ত যাত্রা অব্যাহত রাখবে স্পেন?