এবারের আইপিএলে ১০ ইনিংসে ৫০০ রান করে কমলা ক্যাপ নিজের দখলে রেখেছেন বিরাট কোহলি। এরপরও কোহলি সমালোচিত হচ্ছেন মন্থর স্ট্রাইকরেটের কারণে। গুজরাটের বিপক্ষে ৪৪ বলে অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস। অপরাজিত থেকে বেঙ্গালুরুকে জিতিয়েছেন ম্যাচ। একইসাথে দিলেন সকল সমালোচনার জবাবও।
গুজরাটের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জয়ের পর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস সকলেই আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা বলছে না। আমি স্পিন খেলতে পারি কিনা সেই নিয়ে তারাই আলোচনা করছে যারা এসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে। আমার কাছে দলকে জেতানোই মূল বিষয়। গত ১৫ বছর ধরে সেটাই করে আসছি। জানি না যারা একটা জায়গায় বসে এই কথাগুলো বলছেন তারা ওই পরিস্থিতিতে পড়েছেন কিনা।’
চলমান আইপিএলে স্ট্রাইক রেট নিয়ে কম কথা শোনেননি বিরাট। সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার থেকে শুরু করে অনেক ধারাভাষ্যকারই মালোচনা করেছেন।
সকল ধরনের সমালোচনাকে কোহলি খুবই অল্পই পাত্তা দেন, এই কথাটা সবারই জানা রয়েছে। সমালোচনাকে গায়ে না মাখিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখাতেই মনযোগী তিনি, ‘দলের জন্য পারফর্ম করাই আমার কাজ। লোক তো বসে বসে খেলা নিয়ে নিজেদের ধারণা বলতেই পারে। কিন্তু যারা প্রতিদিন খেলে যায়, তারা জানে ঠিক কী করছে এবং কেন করছে। দুটো মোটেই এক বিষয় নয়।'
অন্যান্য আইপিএলে দেখা গেছে বিরাট কোহলি ও ভারতের সাবেক ব্যাটার গৌতম গম্ভীরের সম্পর্কের মধ্যে একটা তিক্ততা ছিল। যদিও এবারের আইপিএলে তার ভিন্ন চিত্রই দেখা গেছে। মাঠে দুজনকে একসঙ্গে ছবিও তুলতে দেখা গেছে কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচে।
এমনকি স্ট্রাইক রেট বিষয়ে কোহলির পাশে আছেন গম্ভীর। ‘ক্রিকেটারের নিজস্ব পদ্ধতি থাকে। যেটা বিরাট পারবে, সেটা ম্যাক্সওয়েল পারবে না। দলে সব ধরনের ক্রিকেটার থাকা প্রয়োজন। নাহলে ৩০০ হতে পারে, আবার ৩০ রানেও অলআউট হয়ে যেতে পারেন। স্ট্রাইক রেট নির্ভর করে পিচ, ম্যাচের অবস্থার উপরে। যখন দল জেতে, তখন ১০০ স্ট্রাইক রেটও ভালো মনে হয়। আর দল হারলে ১৮০ স্ট্রাইক রেট নিয়েও সমালোচনা হয়।’