![মাগুরায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দুদকের অভিযান](uploads/2024/03/25/1711347379.Magura.jpg)
রোগীদের জন্য ঠিকমতো ওয়ার্ডের ওষুধ না দেওয়া, ওষুধ না দিয়ে ফরমে জোর করে সই করিয়ে রাখাসহ নানা অভিযোগে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঝিনাইদহ কার্যালয়।
গতকাল রবিবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঝিনাইদহ দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান। এ সময় তারা হাসপাতালের অভিযুক্ত স্টোর কিপার গৌতম কুমার সরকারের কাগজপত্র দেখেন। সেই কাগজের ভিত্তিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে অভিযোগ তদন্ত করে তারা সত্যতা পেয়েছেন কি না, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানাননি তারা। তারা বলেছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
তবে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের তদন্তের কথা স্বীকার করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সকালে দুদক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা হাসপাতালের স্টোর কিপার গৌতম কুমার সরকার ঠিকমতো ওয়ার্ডে ওষুধ না দেওয়া, ওষুধ না দিয়েই জোর করে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্তের কথা জানায় দুদক। আমার সঙ্গে কথা বলে তারা স্টোর কিপারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ওয়ার্ডেও তারা কথা বলেছেন। তবে তারা কোনো অসংগতি পেয়েছে কি না, এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানাননি।’
অভিযুক্ত স্টোর কিপার গৌতম কুমার সরকার বলেন, ‘আমার স্টোরে এসে তারা (দুদক কর্মকর্তা) কাগজপত্র দেখেছেন। সেই কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে তারা কথা বলেছেন।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী দুদকের সহকারী পরিচালক বজলুর রহমান বলেন, ‘তথ্য-উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করছি। সেই অনুযায়ী আমরা কমিশন বরাবর রিপোর্ট পেশ করব।’