![রায়গঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা](uploads/2024/04/02/1712030391.up-chairmen.jpg)
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পরিষদের অন্য সদস্যরা। দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে এ প্রস্তাব আনা হয়। গত রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইউনিয়ন পরিষদের নয়জন সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্রটি জমা দেওয়া হয়। এ ছাড়া এর অনুলিপিপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়, জেলা প্রশাসক ও দুর্নীত দমন কমিশন (দুদক) বরাবর পাঠানো হয়েছে।
অনাস্থাপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, গত তিন অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে পাওয়া অর্থ এবং উপজেলা থেকে পাওয়া ১ শতাংশ অর্থ উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার না করে তা আত্মসাৎ করে আসছেন চেয়ারম্যান। উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপির প্রকল্পগুলো একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোনোটা আংশিক, আবার কোনোটা বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তা ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামতের জন্য বরাদ্দ করা অর্থও আত্মসাৎ করেছেন।
এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃকালীন ভাতার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রেজুলেশন ছাড়া নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করে উপজেলায় পাঠাচ্ছেন। ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে তালিকা না নিয়ে ভিজিএফ কার্ডের তালিকা উপজেলায় পাঠিয়েছেন। তিনি মিটিং না করে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে ইউপি সদস্যদের রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে আসছেন। একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে তিনি পরিষদ ভবনে পর্যাপ্ত কক্ষ থাকা সত্ত্বেও ইউপি সদস্যদের জন্য বসার ব্যবস্থা রাখেননি। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা সম্ভব না জানিয়ে অনাস্থা জানান ইউপি সদস্যরা।
এ বিষয়ে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, পরিষদের মেম্বরদের মধ্যে কিছু অশিক্ষিত মেম্বর আছেন, যারা না দেখে শুনেই বিশ্বাস করেন। কিছু দুষ্কৃতিকারী তাদের ভুল বুঝিয়ে অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তারা মূলত আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান অনাস্থাপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’