![এমপি আনারের মৃত্যুর খবরে কালীগঞ্জে মাতম](uploads/2024/05/22/MP_Anar_Kaliganj-1716388360.jpg)
‘আমার মেয়েজামাই তো কারও ক্ষতি করেনি। তাকে কেন মেরে ফেলা হলো। আমরা এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমার সোনার জামাই এভাবে চলে গেল। তার টাকা-পয়সা সবকিছু নিয়ে যেত, কিন্তু তাকে ফিরিয়ে দিত। কেন এভাবে মেরে ফেলল।’
বুধবার (২২ মে) দুপুরে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজিম আনারের বাসভবনের সামনে বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন তার শাশুড়ি কালীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বিনা খাতুন।
পাশেই এমপি আনারের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সিঁড়িতে বসে বিলাপ করছিলেন এমপি আনারের এক সহযোগী রুবেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভারত যাওয়ার আগে তার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। এ সময় সে বলেছিল, গরিব মানুষের চেকগুলো তুলে রাখ। আমি ফিরে এসে চেকগুলো সব একসঙ্গে বিতরণ করব। সে চলে গেল, এখন এভাবে কে গরিব মানুষকে নিয়ে ভাববে। কে আর এভাবে কথা বলবে।’
আনারের আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রতিবেশীরা ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বুধবার তার বাসভবনে জড়ো হন। তাদের কান্নায় আশপাশের এলাকা ভারী হয়ে ওঠে।
এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড নেতা-কর্মীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।’ দোষীদের তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘আমরা তার মতো একজন নেতাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। আমরা কিছুতেই তার এমন মৃত্যু মানতে পারছি না। তার মতো একজন রাজনীতিবিদকে হারিয়ে কালীগঞ্জবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’