![পরীক্ষায় ফেল করে সড়ক অবরোধ](uploads/2024/06/02/sitakundu-1717327088.jpg)
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নির্বাচনি পরীক্ষায় ফেল করে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
রবিবার (২ জুন) দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে লোহাগাড়ার বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।
এ সময় সড়কে যানজট দেখা দেয়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। পরে পুলিশ এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
সড়ক অবরোধকারীরা লোহাগাড়া উপজেলার বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, পরীক্ষার ফরম পূরণের দাবিতে রবিবার দুপুর ১২টায় তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মানববন্ধন করে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাস্তায় অবস্থান নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুল ইসলাম খান খবরের কাগজকে বলেন, কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করে ফরম পূরণের দাবিতে মহাড়ক অবরোধ করে। আমরা গিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, রমজান মাসের তীব্র গরমের মধ্যে পরীক্ষা হওয়ায় অনেকে অংশ নিতে পারেনি। অন্যান্য কলেজে সব শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণের সুযোগ দেওয়া হলেও আমাদেরকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তবে ভিন্ন কথা বলছেন কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, যারা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে তাদেরকে কোনদিন ক্লাসে দেখিনি। তাদের মধ্যে অনেকে ক্লাস না করে কলেজের বাইরে ঘোরাঘুরি করতো। স্যাররা বিভিন্ন সময় বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের ক্লাসে ফেরানো যায়নি। এখন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে তারা আন্দোলন করছে। এটি খুবই লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শরফুল কবির বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে উপজেলার অন্যান্য কলেজের তুলনায় আমাদের কলেজের এইচএসসির ফলাফল খারাপ হওয়ায় আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে স্পেশাল ক্লাস, অতিথি শিক্ষকদের মাধ্যমে পাঠদান ও বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছি।
এমনকি প্রথম টেস্ট পরীক্ষার পরে বিগত রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের আবারও একটি টেস্ট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়েছি। সেখানে যারা সর্বনিম্ন দুই বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য হয়েছে তাদেরকে উত্তীর্ণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যারা ফরম পূরণের জন্য আন্দোলন করছে তারা সবাই ৩-৬ বিষয় পর্যন্ত ফেল করেছে। এমতাবস্থায় আমরা তাদেরকে কিভাবে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারি তা আমার জানা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনেকেই টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। কলেজে উপস্থিত হয়ে ঠিকমতো ক্লাসও করেনি। মেসেজ, কল ও চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে তবুও তাদের মধ্যে অনেকে টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।’
মনির/অমিয়/