![জেল হাজতে বন্ধুত্ব, জামিনে বেরিয়ে মোটরসাইকেল চুরি](uploads/2024/06/08/ctg-thip-news-1717817312.jpg)
চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রিপেইড সিন্ডিকেটের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চক্রের গ্রেপ্তার সদস্যরা হলো- মো. আবিদ হোসেন শ্রাবণ (২০), মো. আজিজুর রহমান (২৪), মো. রাফি (৩১), মো. আব্দুল্লাহ আল আবেদ ওরফে তুহিন (২৪), মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে খোকা (২৭) ও মো. জমির হোসেন (২০)।
পুলিশ জানায়, আসামি আজিজ আট মাস আগে একটি অপহরণ মামলায় জেলে যায়। সেখানে অপর আসামি মো. আবিদ হোসেন শ্রাবণের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। আজিজকে বিভিন্ন মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার বর্ণনা দেয় শ্রাবণ। একপর্যায়ে আজিজ বিস্তারিত ঘটনা শোনার পর শ্রাবণকে জেল থেকে জামিন করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে এর বিনিময়ে শ্রাবণ জামিনে বের হওয়ার পর যত মোটরসাইকেল চুরি করবে সবগুলো আজিজের কাছে সাপ্লাই দেবে। শ্রাবণ আজিজের প্রস্তাবে রাজি হয়।
আজিজ দুই মাস আগে জেল থেকে জামিনে বের হয়। এরপর শ্রাবণের জামিনের ব্যবস্থা করেন। ১০-১২ দিন আগে শ্রাবণের জামিন হয়। জেল হাজত থেকে বের হওয়ার দিন আজিজ শ্রাবণকে অ্যাডভান্স মানি হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেয়। এরপর থেকে শ্রাবণ চট্টগ্রাম মহানগরসহ আশপাশ এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি শুরু করে। এই ১০-১২ দিনে শ্রাবণ কোতোয়ালি থানা এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চারটি মোটরসাইকেল চুরি করে আজিজ ও তার বন্ধু রাফির কাছে হস্তান্তর করে।
রাফি চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচার লাভের অংশ থেকে বাইকপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা নেয়। প্রতিটি মোটরসাইকেল হস্তান্তরের সময় দামের পাশাপাশি কিছু টাকা পরবর্তী মোটরসাইকেল পাওয়ার জন্য আজিজ শ্রাবণকে অ্যাডভান্স দেয়। আজিজ এবং রাফি শ্রাবণ থেকে মোটরসাইকেল নেওয়ার পর তুহিনের মারফত রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকার খোকার কাছে পাঠায়। খোকা প্রতি বাইকে ১০ হাজার টাকা লাভ ধরে জমিরের কাছে বিক্রি করে। জমির মোটরসাইকেলগুলো লিগ্যাল মোটরসাইকেল বলে স্থানীয়দের কাছে বাজার দরে বিক্রি করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক জানান, বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় চক্রের মূল হোতা আবিদ হোসেন শ্রাবণকে গ্রেপ্তার করি। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি থানার এসআই মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন বাদী হয়ে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে মো. আবিদ হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি, পাহাড়তলী, হালিশহর, চবকবাজার, আকবরশাহ থানায় আটটি গাড়ি চুরির মামলা আছে। আর আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া ও কোতোয়ালি থানায় পাঁচটি মামলা আছে। তাছাড়া মো. রাফির বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা আছে।
তারেক মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/