![বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’ বাধ্যতামূলক](uploads/2024/02/09/1707419671.pensionkk.jpg)
সব বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরকারের বয়োবৃদ্ধকালীন আর্থিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’তে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক সার্কুলারের মাধ্যমে দেশে কার্যরত সব বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশ দেয়।
সার্কুলারে বলা হয়, ‘দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আপনাদের ব্যাংকে (রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক ব্যতীত) কর্মরত কর্মকর্তা-কমচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাদের নির্দেশনা প্রদান করা গেল।’
গত বছর ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩’ পাস হয়। একই বছরের ১৭ আগস্ট এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে অংশীজনের দেওয়া চাঁদাকে আয়করমুক্ত হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
নীতিমালা অনুযায়ী দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী প্রায় ১০ কোটি নাগরিককে পেশাভেদে ৬টি শ্রেণিতে ভাগ করে এই স্কিম নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবী পেনশনার, প্রবাসী/অনিবাসী পেনশনার, শ্রমিক শ্রেণি, অপ্রাতিষ্ঠানিক জনগোষ্ঠী, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিভুক্ত জনগোষ্ঠী ও শিক্ষার্থী।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে শুধু সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান।
দেশের সব কর্মক্ষম মানুষ পেনশন সুবিধার আওতায় ছিলেন না। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি হিসেবে সব নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রতিষ্ঠা করে সরকার।
আইন অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও পেনশন স্কিমের আওতায় রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাসিক পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চাঁদাদাতাকে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। ১০ বছর চাঁদা দেওয়া শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সে বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।
এমএ/