![ইরানের কৃষিপণ্যের রপ্তানি ২৪ শতাংশ বেড়েছে](uploads/2024/06/03/iren-1717402082.jpg)
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কৃষিপণ্য রপ্তানি বেড়েছে। ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান কাস্টম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইআরআইসিএ) সভাপতি বলেছেন, চলতি ইরানি পঞ্জিকাবর্ষে (২০ মার্চ-২০২৪ থেকে শুরু হওয়া) দেশ থেকে কৃষিপণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ২৪ শতাংশ বেড়েছে। আর রপ্তানি মূল্য বেড়েছে ২৮ শতাংশ। খবর তাসনিম নিউজ এজেন্সির।
আইআরআইসিএর সভাপতি মোহাম্মদ রেজভানিফারের বরাত দিয়ে ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থাটির খবরে বলা হয়, বর্তমান ইরানি পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম দুই মাসে দেশটি থেকে ৬৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের ১০ লাখ টনেরও বেশি কৃষিপণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
আইআরআইসিএর প্রধান রেজভানিফার আরও বলেন, আগের বছরের প্রথম দুই মাসে (২১ মার্চ থেকে ২০ মে-২০২৩) দেশটি থেকে ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের ১০ লাখ টনের বেশি কৃষিপণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল।
মোহাম্মদ রেজভানিফারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং জানায়, চলতি বছর দেশটি থেকে রপ্তানি করা প্রধান পণ্যের মধ্যে ছিল আপেল, খোসাসহ পেস্তা, তরমুজ, টমেটো এবং বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করা টমেটো। এর মধ্যে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের আপেল রপ্তানি করা হয়। এ ছাড়া খোসাসহ পেস্তা রপ্তানি হয় ৭ কোটি ৪১ লাখ ডলারে, তরমুজ ৮ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, টমেটো ৫ কোটি ৩ লাখ ডলার এবং ৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের গ্রিন হাউস টমেটো রপ্তানি করা হয়।
রেজভানিফারের বরাতে তাসনিম নিউজ এজেন্সি আরও জানায়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের (২১ মার্চ থেকে ২০ মে-২০২৪) রপ্তানি পরিসংখ্যান সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওজনের দিক থেকে দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ ছিল কৃষিপণ্য। অন্যদিকে মূল্যের দিক থেকে রপ্তানি আয়ের ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ আসে কৃষিপণ্য থেকে।
প্রসঙ্গত, ইরানের অর্থনীতিতে রপ্তানি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ১৫ শতাংশ রপ্তানি আয় থেকে আসে। তেল ও গ্যাস হলো ইরানের প্রধান রপ্তানি পণ্য, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে তেল ও গ্যাস রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
ইরানের রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যময়। চীন, ইরাক, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত ইরানের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত অর্থনীতির সঙ্গে ইরানের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
ইরান সরকার রপ্তানি খাতকে বৈচিত্র্যময় করা এবং তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়। এ জন্য সরকার কৃষি, খনিজ, পেট্রোকেমিক্যাল এবং উৎপাদন খাতের মতো অন্যান্য খাতের রপ্তানি বাড়ানোর নীতিমালা গ্রহণ করেছে।